বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রথম দু’দফার ভোটের জন্য শনিবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সহ শীর্ষস্থানীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। কলকাতা থেকে অধীর ও মান্নান অংশ নেন বৈঠকে। জানা গিয়েছে, সোনিয়া এদিন শুরুতেই তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী মহাজোটের আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চান। তার জবাবে অধীর জানান, এই মহাজোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আসন বোঝাপড়া হয়েছে। সেই বোঝাপড়া মোটামুটিভাবে চূড়ান্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রথম দু’দফার ভোটে কংগ্রেস ১৩টি আসনে লড়বে। তবে এছাড়া পুরুলিয়ার জয়পুর আসনে বামফ্রন্টের শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিলেও সেখানে কংগ্রেস লড়তে চায়। কারণ, সেখানে এখন যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে ওই আসনে নিশ্চিতভাবে কংগ্রেস এবার জিতবে। যদিও এব্যাপারে মান্নান সহমত হতে পারেননি অধীরের সঙ্গে। জয়-পরাজয় নয়, বামেদের ঘোষিত আসনে প্রার্থী দিলে জোটের স্পিরিট শুরুতেই ধাক্কা খেতে পারে বলে বিরোধী দলনেতা যুক্তি দেন। দলনেত্রী অবশ্য ২০১৬ সালের মতো এবার কোনও আসনেই ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ লড়াইয়ের পক্ষে নন বলে বুঝিয়ে দেন এদিনের বৈঠকে। উল্লেখ্য, জয়পুর আসনে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস প্রার্থী দিলে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব পাল্টা হিসেবে বাঘমুন্ডি কেন্দ্রেও লড়াইয়ের জন্য এদিন থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
এদিকে, মহাজোটের নতুন শরিক আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ প্রথম দু’দফার ভোটে তাদের কোটার আসনগুলির জন্য এদিনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি। হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামের প্রার্থী নিয়েও মোর্চা বা আব্বাসরা কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি। ফুরফুরা শরিফে এদিন থেকেই শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ইসাল-এ-সওয়াল উৎসব শুরু হয়েছে। সেই উৎসবের জন্য আব্বাস এবং তাঁর ভাই তথা দলের চেয়ারম্যান নৌশাদ সিদ্দিকিরা ব্যস্ত থাকার কারণে প্রার্থীদের নাম ঘোষণার কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে আইএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে এদিন বিকেলে রান্নার গ্যাস ও পেট্রপণ্য সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে সংযুক্ত মোর্চার তরফে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয় সংযুক্ত মোর্চার তরফে। কিন্তু কোথাও আইএসএফ-এর নেতা বা সমর্থকদের অংশ নিতে দেখা যায়নি। কলকাতায় এন্টালি থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত কয়েক হাজার সমর্থকের মহামিছিলে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, মনোজ ভট্টাচার্য, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যদের মতো বাম-কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অংশ নেন। কিন্তু শুক্রবার ঘোষণা করেও আইএসএফ নেতৃত্ব এদিন কর্মসূচিতে গরহাজির থাকায় নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে মোর্চাকে ঘিরে। যদিও বিমানবাবু এনিয়ে বলেন, ওরা কেন আসেনি বলতে পারব না। সম্ভবত ফুরফুরার উৎসবের জন্য আটকে পড়েছে।