বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বাণিজ্যিক এলাকায় দোকানপাট খোলা ছিল। ধর্মতলা, হাতিবাগান, গড়িয়াহাটের মতো জায়গায় ফুটপাতে পসরা নিয়ে বসেছিলেন হকাররা। তবে ক্রেতার সংখ্যা তেমন ছিল না। ছোট-বড় ব্যবসায়ী, হকাররা ‘কর্মনাশা’ ধর্মঘটের সমালোচনা করে প্রকাশ্যেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
ধর্মঘট ঘিরে বড় ধরনের কোনও অশান্তি হয়নি শহরে। দুপুরে লেনিন সরণী, চাঁদনি চক এলাকায় কয়েকজন ধর্মঘট সমর্থক জোর করে দোকানপাট বন্ধ করেত গেলে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিস এসে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তালতলা এলাকায় দুটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিধানননগর কমিশনারেট এলাকার নিউ টাউনে ধর্মঘটের সমর্থকরা অটোচালকদের গাড়ি চালাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। অটোচালকরা এর প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। বাম সমর্থকরা সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সল্টলেকের আরও কয়েকটি জায়গায় অবরোধের চেষ্টা করে বামপন্থীরা। দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এদিন শহরের সর্বত্রই প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। পদস্থ পুলিস আধিকারিকরাও ছিলেন রাস্তায়। এদিন গোটা শহরে আইনশৃঙ্খলা ভাঙা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য মোট ১৪০ জন ধর্মঘট সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এর মধ্যে ৩৯ জন মহিলা। তবে পরে ব্যক্তিগত জামিনে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।
ধর্মঘটের সমর্থনে বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা বড় মিছিল করেছেন যাদবপুরে। সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। যাদবপুরে রেল অবরোধও করা হয়। রাসবিহারী, হাজরা, গড়িয়াহাট এলাকাতেও মিছিল করেন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। এন্টালি, মল্লিকবাজারেও মিছিল হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এই মিছিলে ছিলেন। এদিন বেলা বাড়তেই হাতিবাগান, শ্যামবাজার, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, লিন্ডসে স্ট্রিট প্রভৃতি এলাকায় ধীরে ধীরে দোকানপাট খোলে। হকাররাও ডালা নিয়ে বসে পড়েন। চাঁদনি চক এলাকাতেও অনেক দোকান খোলা ছিল। তবে কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া ছিল পুরোপুরি বন্ধ। বিবাদি বাগের অফিসপাড়া ছিল তুলনায় অনেক ফাঁকা। ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ ছিল। ধর্মঘটী ব্যাঙ্ককর্মীরা মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখান। শ্যামবাজারে একটি ব্যাঙ্ক খুললেও ধর্মঘটীরা তা বন্ধ করে দেন বলে জানা গিয়েছে। জিপিও-তে অবশ্য স্বাভাবিক কাজ হয়েছে।