বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সন্তোষ সিং বলেন, শ্রীরামপুরের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল অত্যন্ত উচ্চমানের। এখানে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার জন্য রবীন্দ্রভবনের বিপুল জনপ্রিয়তা আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক উপকরণে রবীন্দ্রভবন সাজানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম হিসাবে রবীন্দ্রভবনকে গড়ে তুলতে যাবতীয় পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
প্রায় ৫০ বছর আগে আম জনতার চাঁদার টাকায় রবীন্দ্রভবন তৈরি হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী রত্না দে নাগের বাবা গোপাল দাস নাগ এর অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। তারপর থেকে ওই রবীন্দ্রভবনে আধুনিকতার ছোঁয়া সেভাবে লাগেনি। পুরসভার হাতে ভবনটি চলে যাওয়ার পর শ্রীরামপুরের বর্তমান বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের টাকায় সেখানে এসি বসানো হয়েছিল। তাছাড়াও কিছু সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে। আবার আধুনিক সময়ের উপযোগী পরিকাঠামো না থাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার সমস্যা দেখা দিয়েছে। শিল্পী মহলের অভিযোগ, বসার চেয়ারগুলি পুরনো হয়ে গিয়েছে। অনুষ্ঠান চলাকালীন সেগুলির শব্দ মাঝেমধ্যেই সমস্যায় ফেলে। একইসঙ্গে টিনবাজার এলাকার রবীন্দ্রভবনটির ভিতর ও বাইরের পরিবেশও ঘিঞ্জি।
এসব অভাব-অভিযোগের ফলেই এবার অর্ধশত বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিকে আধুনিকতার যাবতীয় উপাদানে সাজারে তৈরি হয়েছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চ-সহ কলকাতার একাধিক মঞ্চকে মডেল করে ওই আধুনিকীকরণের কাজ করা হবে। তাতে দর্শকদের জন্য যেমন আরামদায়ক, রুচিসম্মত বসবার জায়গা থাকবে তেমনি সমস্ত অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় আয়োজন থাকবে। শিল্পীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই বানানো হবে উন্নত গ্রিনরুম। পুরকর্তাদের দাবি, প্রকল্প তৈরি। সরকারি অনুমোদন মিললেই রবীন্দ্রভবনের ভোল বদলের কাজে হাত দেওয়া হবে।