বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বর্তমান চাকদহ পুরসভা এলাকায় তিনটি ভূগর্ভস্থ জলাধার রয়েছে। ঘুগিয়া, স্টেশন রোড এবং যশরার কাছে এই জলাধারগুলি স্থানীয় মানুষের ভরসা অন্যতম ক্ষেত্র। জলাধার তিনটিকে সহায়তা দেওয়ার জন্য রয়েছে আরও ৩৪টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন। কিন্তু এগুলি সবই মাটির নীচের জল তুলে জলাধার ভর্তি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী থাকার সময়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে পাইপলাইন বসেছিল। গঙ্গা থেকে জল তুলে তা পরিশোধন করে চাকদহ ব্লক এলাকায় সরবরাহ শুরুও হয়। এও স্থির হয়, যেহেতু পাইপলাইনটি চাকদহ পুর এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে, সেহেতু এই অংশেও বিপুল পরিমাণ জল সরবরাহ করা হবে। এই জল ধরে রাখার জন্য পাবনা কলোনি হাইস্কুলের পিছনে একটি জলাধারও তৈরি হয়। অথচ, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত শুধু খাতায়-কলমেই রয়ে গিয়েছে। পুর এলাকায় ওই পাইপলাইন থেকে এক ফোটাও জল সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে ওই জলাধারটিও বর্তমানে পরিত্যক্ত চেহারা নিয়েছে। জঙ্গল-আগাছায় ভরে গিয়ে তা অসামাজিক কার্যকলাপের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এদিকে, পুরসভা যে জল দিচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। পুরসভার এক বিদায়ী কাউন্সিলার দিবাকর চক্রবর্তী বলেন, ২০০৭-০৮ সালে বামফ্রন্ট আমলে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল গঙ্গা জল পরিশোধন এবং সরবরাহ করার জন্য। কিন্তু সেই কাজ আর বাস্তবায়িত না হওয়ায় তখন টাকা ফেরত চলে যায়। তারপর বর্তমান বিদায়ী চেয়ারম্যানও চেষ্টা করেন। কিন্তু পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর বিষয়টি নিয়ে সেভাবে তৎপরতা দেখায়নি। চাকদহ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংখ্যার সভাপতি বিবর্তন ভট্টাচার্য বলেন, জনস্বাস্থ্য কারিগরির পাইপলাইন থেকে জল সরবরাহ না হওয়ায় তখন তৎকালীন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানাই। তার পরেও আমাদের এলাকার এই সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। আর্সেনিকের শঙ্কা নিয়ে মানুষকে জল খেতে হচ্ছে।