নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডেঙ্গু রুখতে সেক্টর ফাইভের বিভিন্ন জায়গায় এবার ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাবে নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি (এনডিআইটিএ)। কোথায় জল বেশি জমেছে, সেটা ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেই দেখা হবে। এছাড়াও, হালকা বা মাঝারি বৃষ্টির পর ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হবে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে, মাঠে এবং সেক্টর ফাইভের অন্যান্য জায়গায়। কোথাও বৃষ্টির জল জমে রয়েছে কি না, তা ড্রোনের ক্যামেরার চোখ দিয়েই দেখবেন নবদিগন্তের আধিকারিকরা। নজর রাখা হবে বিভিন্ন আবাসন কিংবা বাড়ির ছাদে ফুলের টব বা অন্যান্য জায়গাতেও। রবিবার নবদিগন্ত ভবনে ‘ডেঙ্গু বিজয় অভিযান’ উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনডিআইটিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, ওই বোর্ডের সদস্য কল্যাণ কর নবদিগন্তের আধিকারিক বদ্রীনারায়ণ কর সহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ছাড়াও বিশেষ ভেক্টর কন্ট্রোল টিম তৈরি করার কথা ঘোষণা করা হয়। সেই দল নিয়মিত সেক্টর ফাইভ এলাকায় জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজ দেখাশোনা করবে। পাশাপাশি, নবদিগন্ত ভবনের বাইরে একটি ‘স্মার্ট মসকিউটো ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। আশেপাশের ঘোরাফেরা করা মশা এই যন্ত্রের মধ্যে রাখা একটি বিশেষ রাসায়নিক স্প্রে-এর ধরা দেবে। যন্ত্রে বসানো রয়েছে একটি বিশেষ টেকনিক্যাল গ্যাজেট বা ট্র্যাকার। সেই ট্র্যাকারের মাধ্যমে কতগুলি মশা ধরা পড়ল, তাদের মধ্যে কতগুলি পুরুষ, কতগুলি স্ত্রী এবং কোনগুলি ডেঙ্গু বহনকারী, তার বিস্তারিত তথ্যও পাওয়া যাবে। সেই তথ্য বিশেষ মোবাইল অ্যাপে ডাউনলোড করা যাবে। ওই মোবাইল অ্যাপটির নাম ‘মসকিট’। দেবাশিস সেন বলেন, পূর্ব ভারতে এই প্রথম আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং অ্যানালিটিকসের মাধ্যম ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এখানে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রবিবার সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গু অভিযানের আয়োজন করা হয়। এদিন বিদ্যুৎ ভবনের সামনে ডেঙ্গু বিজয় অভিযানে রাস্তায় নামেন বিধাননগরের মেয়র তথা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তিনি নগর উন্নয়ন ভবন, এসডিও ভবন ইত্যাদি ঘুরে দেখেন। এই সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করা হয়। কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ডেঙ্গু রুখতে এই দিনটি বাংলা জুড়ে বিশেষ ভাবে পালিত হল। যদিও সারা বছর ধরে বিধাননগর পুরসভার তরফে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সচেতনামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে কৃষ্ণা চক্রবর্তী। (ইনসেটে) এই ড্রোনের মাধ্যমেই চলছে নজরদারি। -নিজস্ব চিত্র