বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত বুধবার ভোররাতে হাবড়া থানার কুমড়া পঞ্চায়েতের টুনিঘাটা মণ্ডল পাড়ায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছিল। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী নীলা মণ্ডলকে খুন করে তন্ময়। মৃত দম্পতির ভাইঝির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকী সে ওই নাবালিকাকে নিয়ে বাংলাদেশে চম্পট দিয়েছিল। এরপর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সে ওই তরুণীকে নিয়ে কাশীপুরের নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হওয়ায় ওই তরুণী বাপের বাড়িতে ফিরে এসে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। ভাইঝির এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি এই দম্পতি। সেই কারণে তাঁরা বারবার প্রতিবাদও করেছিলেন। প্রেম ও দাম্পত্যজীবন ব্যর্থ হওয়ার আক্রোশে তন্ময় ওই দম্পতিকে খুন করে। কিন্তু খুনের রাত থেকে সে পলাতক ছিল। অনেকেই আশঙ্কা করেছিল সে বাংলাদেশে চম্পট দিতে পারে। সেইমতো সীমান্তেও পুলিস ওত পেতে ছিল। কলকাতা, কালনা ও দুর্গাপুরে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। সেই অনুযায়ী পুলিস দুর্গাপুর-সহ অন্যান্য জায়গায় হানাও দেয়। দুর্গাপুরে গিয়ে পুলিস জানতে পারে, খুনের কাণ্ড ঘটানোর পর সে দুর্গাপুরে এসেছিল। কিন্তু সেখান থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, তন্ময় দুর্গাপুর থেকে যখন বের হয়, তখন তার পকেটে মাত্র ২০০ টাকা ছিল। কিন্তু এরপরেও সে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলেনি। কারও কাছে ফোন করে সাহায্যও চায়নি। সেই কারণে তদন্তকারীরাও ধন্দে পড়েন। কারণ ওই সামান্য টাকা নিয়ে বাংলাদেশ পালানো সম্ভব নয়। তা হলে তন্ময় কোথায়? সেই প্রশ্ন সকলের মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার পুলিস বিশেষ সূত্র মারফত জানতে পারে, অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার জন্য তন্ময় তার এক পরিচিতের ফোন ব্যবহার করে। এমনকী সে পে-টিএমের মাধ্যমে টাকা চায় এক আত্মীয়ের কাছে। কোন নম্বরে টাকা পাঠাবে সেই নম্বরও সে দিয়েছিল। পে-টিএমের টাকা দেওয়ার জন্য যে মোবাইল নম্বর সে দেয়, তা পুলিসের হাতে আসার পর তন্ময় কার্যত পুলিসের নাগালে চলে আসে। ওই নম্বর ট্র্যাক করতেই পুলিস জানতে পারে বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকায় তন্ময় আত্মগোপান করে রয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে পুলিসের বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। তবে ধৃতকে জেরা করার সময় তাঁর সাবলীল উত্তর দেখে পুলিস কর্মীরাও থ। এক আধিকারিক বলেন, অনেক বড় ক্রিমিনাল পুলিস হেফাজতে এসে ভেঙে পড়ে। কিন্তু তন্ময়ের তেমন কোনও ভাবান্তর নেই।