বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুক্রবার এলাকার কিছু ছেলে রাস্তায় ক্রিকেট খেলছিল। বল বাড়ির মধ্যে ঢুকে যায়। মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকায় পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে কয়েকজন। আর ঢুকেই চোখ কপালে ওঠে তাদের। ঘরের সব দরজা খোলা, লন্ডভন্ড চারদিক। বাড়ির পিছন এবং পাশে আগাছায় ভরে গিয়েছে। দীর্ঘদিন যাতায়াত না করায় একটা অংশে মৌমাছির চাকও তৈরি হয়েছে। পাড়ার ছেলেরা বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরকে জানায়। তিনি থানায় খবর দেন।
বারুইপুর থানার পুলিস ও পদস্থ কর্তারা হাজির হন সেখানে। বাড়ির দোতলার ঘরে একটি কম্বল রাখার ব্যাগের ভিতরে হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পাশে রয়েছে একটি কালী মূর্তিও। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে কাপড়-জামা, সুটকেস ইত্যাদি। বেশ কয়েকটি আলমারি খোলা। কয়েকটি আবার বন্ধ। বিছানায় খালি গয়নার বাক্স পড়ে রয়েছে। বাড়ির তিন তলায় কিছু ডাক্তারি এবং ধর্মীয় বইও মিলেছে। যে হাড়গুলি পাওয়া গিয়েছে, তাতে লাল ও নীল রঙের দাগ দেওয়া। সেগুলি কোনও বিশেষ চিহ্ন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বাড়িতে অন্তত সাতটি সিসিটিভি ছিল। সবই ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়িতে দেদার লুট চলেছে কি না, তা নিয়েও নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। কারণ, অনেক দামি ও মূল্যবান জিনিসপত্র রয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে নোট বাতিলের পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান অনঙ্গবাবু ও তাঁর গোটা পরিবার। দীর্ঘ দু’বছর ধরে এই বাড়ি বন্ধ অবস্থায় পড়েছিল। এই ঘটনায় একাধিক রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘরগুলি যে অবস্থায় পড়েছিল, তাতে লুট চলেছে বলে মনে হবে। কিন্তু কী খোওয়া গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এখানে তন্ত্রসাধনা যদি করাই হতো, তাহলে কে করতেন? অনঙ্গবাবু ও তাঁর পরিবারই বা কোথায়? তিনিই কি এসব করতেন? ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর বলেন, ‘২০১৬ সালে অনঙ্গবাবু আমার বাড়িতে এসেছিলেন সাধুর বেশে। তাঁর গলা এবং হাতে মাদুলি এবং নানা কবজে ভর্তি ছিল। তিনি জানান, তাঁকে কেউ কালাজাদু করেছেন।’ ফরেন্সিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই হাড়গুলি কার, তা বোঝা যাবে না। কিন্তু যেভাবে পাড়ার মধ্যে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে এসব উদ্ধার হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।