বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত বছর জুলাই মাসে এই বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। তার পাশ দিয়ে যে কংক্রিটের রাস্তা চলে গিয়েছে, সেটির একটি অংশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তায় যেভাবে ফাটল ধরেছে তাতে যে কোনও সময় সেটি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরসভা থেকে একাধিকবার এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বাঁধ মেরামতির জন্য খবর দেওয়া হয়েছে সেচদপ্তরকে। তারপর কয়েক দফায় কাজও হয়। কিন্তু যতবার ইট-পাথর ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ফাটল ভরাট করার চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই ঢেউয়ের ঝাপটায় সব জলেই চলে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় উম-পুনে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাস্তাটির ফাটল আরও প্রকট হয়েছে। দেখে মনে হবে যেন কংক্রিটের রাস্তায় ঢেউ খেলে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে দুটি বিশালাকার গাছ তলিয়ে গিয়েছে এবং একটি ঘাটও জলের তলায়। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বক্তব্য, এক বছর ধরে নানা টালবাহানা চলছে। কিন্তু কোনও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। এই রাস্তা নদীগর্ভে চলে গেলে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। তখন আর কিছু করার থাকবে না। সব ভেসে যাবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ এই পরিণতি হয়েছে। বাঁধের একদিকে নদী, অপরদিকে বেশ কয়েকটি ছোট পুকুর রয়েছে। তার আশেপাশে অন্তত ১৫০-২০০টি পরিবারের বসবাস।
জাহাজ যাওয়া-আসার সময় নদীর ঢেউ অনবরত ধাক্কা মারছে এই জায়গাটিকে। তাতে আরও অবনতি হচ্ছে ভাঙা অংশের। কিন্তু কেন এতদিনেও এই মেরামতির কাজ করা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরসভার প্রশাসক তাপস বিশ্বাস বলেন, সেচ বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওদেরই করার কথা। কেন করছে না, জানি না। এদিকে বাঁধের এই হাল ঠিক করা যায় কী করে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিলম্বে এখানে বোল্ডার ফেলতে হবে। রাস্তার নীচে যে গর্ত হয়েছে, তা ভরাট করার ব্যবস্থা করতে হবে। একটি কংক্রিটের দেওয়ালও করা দরকার। আর সব শেষে লোহার রড দিয়ে শিট পাইলিং করতেই হবে। তা না হলে যে কোনও সময় পুরোটা ভেঙে পড়তে পারে। নিজস্ব চিত্র