স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় পানীয় জলের হাহাকার বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অধীন বারাসতের একাধিক জল প্রকল্প বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের তরফে অস্থায়ীভাবে পানীয় জল সরবরাহ করা হলেও তাতে মানুষের প্রয়োজন মিটছে না বলে অভিযোগ। সে কারণে, আর্সেনিকপ্রবণ বহু এলাকার বাসিন্দারা টিউবওয়েলের জল খেতে বাধ্য হতে হচ্ছেন। সেই জলও অনেক ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ কিমি দূর থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। একাধিক জায়গায় পুকুরের জলেই রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসী। শুধু তাই নয়, জলমগ্ন এলাকায় রান্নার জন্য জ্বালানি কাঠেরও তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, সন্দেশখালি১ ও ২ ব্লকের বহু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। ফলে এইসব ব্লকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সিংহভাগ জল প্রকল্প বন্ধ। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জেনারেটর দিয়ে কয়েকটি জায়গায় প্রকল্প চালানোর ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন। তাতেও বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের পানীয় জলের সমস্যা মিটছে না। হাসনাবাদ ব্লকের হাসনাবাদ, ভবানীপুর১,পাটলিখানপুর, বরুণহাটরামেশ্বরপুর ও আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। সন্দেশখালির খুলনা, কোরাকাটি, ন্যাজাট১ ও ২ সহ বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকায় পানীয় জলের হাহাকার চলছে। মিনাখাঁর আটপুকুর ও মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মতো হাড়োয়ার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সমস্যা রয়েছে। একাধিক জায়গায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা বসিরহাট থেকে পরিশুদ্ধ জল পাঠানোর ব্যবস্থা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর থেকে সন্দেশখালি১, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ ও মিনাখাঁ ব্লকে একটি করে পানীয় জলের পাউচ তৈরির মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়া জলমগ্ন এলাকায় ট্যাঙ্কে করে পানীয় জল পাঠানো হচ্ছে।
