নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ধরা পড়ল আরও ৩৪৪ জনের। মারা গেলেন ছ’জন। মৃতদের তিনজন কলকাতা, দু’জন হুগলি ও একজন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। মোট ও সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল যথাক্রমে ৪৫৩৬ এবং ২৫৭৩। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২৩। কো-মরবিডিটিতে মারা গিয়েছেন আরও ৭২জন। ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯২৫৬ জনের পরীক্ষা হয়েছে। মোট পরীক্ষা হয়েছে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৬৯ জনের। করোনামুক্ত হয়েছেন আরও ৯০ জন। মোট করোনামুক্তের সংখ্যা ১৬৬৮। সুস্থতার হার ৩৬.৭৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের করোনা বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কলকাতার ৮৭ জন ছাড়াও হাওড়ার ৫৫, উত্তর ২৪ পরগনার ৪৯, উত্তর দিনাজপুরের ৪৬ জন আছেন। পুরুলিয়াতেও এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলায় রাজ্যে সম্পূর্ণ করোনামুক্ত রইল দুটি জেলা, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এক নির্দেশনামায় রাজ্য জানিয়েছে, সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু ফেরত বাদে বাদবাকি উপসর্গহীনদের ১৪ দিন গৃহবন্দি থাকতে হবে। আর এই পাঁচ রাজ্য ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন রাখা হবে। উপসর্গ থাকলে লালারস সংগ্রহ করা হবে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বাড়ির লোকজন নিয়ম মেনে খাবার দিতে পারেন। না পারলে জেলা প্রশাসন দেবে।
এদিকে, আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জরুরি পরামর্শ দিতে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন শুরু হল স্বাস্থ্যভবন থেকে। বুধবার বিকেলে টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন আশঙ্কাজনক রোগীর চিকিৎসায় পরামর্শ দেওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিকর্তার চেম্বার থেকেই ভিডিও কলিং-এর মাধ্যমে। এরপর একই পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞরা রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালগুলির চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। আজ, শুক্রবার হাওড়ার একটি কোভিড হাসপাতাল থেকে ১০০ করোনা জয়ী রোগীকে ছুটি দেওয়া হবে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৬ মে (কোভিড হাসপাতাল হিসেবে কাজ শুরুর পর থেকে) থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ২৯৮ জন কোভিড ও ৩৮৭ জন তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগী ভর্তি হয়েছেন। ছুটি পেয়েছেন যথাক্রমে ১৩০ ও ১৮২ জন। বিকেল পর্যন্ত বাঙ্গুরে সারি ও কোভিড মিলিয়ে ৮৭ জন ভর্তি আছেন। এদিন বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও রক্ত না পাওয়া থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিশোরীকে নবজীবন দান করেন কাকদ্বীপ থানার এক পুলিসকর্মী।