বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বছর খানেক ধরেই আনন্দ তৃষাকে একাধিকবার প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তৃষা তাতে সাড়া না দেওয়ায় আনন্দ তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে শুরু করে। এনিয়ে ওই কিশোরী তার বাবাকে জানালে তিনি আনন্দকে ডেকে সতর্ক করে দেন। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলাও হয়। তারপরেও আনন্দ তাকে উত্যক্ত করায় মাস ছয়েক আগে গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে আনন্দকে সাবধান করা হয় এবং সে সবার সামনেই ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। তৃষাকে আর বিরক্ত করবে না বলেও কথা দেয়। সূত্রের খবর, বুধবার সকালে স্থানীয় ঘোষপাড়ায় প্রাইভেট টিউশন পড়ে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফেরার সময় গ্রামের একটি ফাঁকা জায়গায় তৃষার পথ আটকায় আনন্দ। এরপর কথা কাটাকাটি শুরু হলে আনন্দ আচমকা ধারালো কাটারি বের করে তৃষার গলায় কোপ মারে। শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায় মাথা। ঘটনার পরেই বাইক নিয়ে চম্পট দেয় সে।
এদিকে, তৃষাকে খুনের কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিস গ্রামে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।পুলিস আধিকারিকের বক্তব্য, খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করে। রাতে তার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা জানতে পারে পুলিস। মৃত তৃষা বাগ।