বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ফুটপাতবাসী দিনমজুর এবং ভবঘুরেদেরও দু’বেলা খাওয়াচ্ছে কলকাতা পুলিস। প্রতিটি থানা এলাকাতেই পুলিস ঘুরে ঘুরে এই কাজ করছে। গড়ে এক একটি থানা থেকে দুইশো থেকে আড়াইশো প্যাকেট খাবার বিলি হচ্ছে। থানার কর্মীরা নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে এই খাবারের ব্যবস্থা করছেন। লকডাউনের বাজারে পুলিসের এই কাজ সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এমনকী পুলিস কমিশনারও থানাগুলির এই ভূমিকায় যথেষ্ট খুশি। তিনি নির্দেশ দেন, শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুর-বিড়ালরা যাতে খাবার পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হোটেল, রেস্তরাঁ বন্ধ থাকায় এই প্রাণীদের খাবার জোগাড় করতে অসুবিধা হচ্ছে, তা বুঝতে পারেন অফিসাররা। হোটেলের উচ্ছিষ্ট খেয়ে তারা দিন কাটায়। লকডাউন চলাকালীন বেশ কয়েকটি এনজিও পুলিসের কাছে আবেদন করে, তারা রাস্তার কুকুর-বিড়ালদের খাবার দিতে চায়। অল্প কিছু এনজিওকে পুলিস অনুমতিও দেয়। কিন্তু বিশাল কলকাতা শহরে দু-একটি এনজিওর পক্ষে এই কাজ করা যে সম্ভব নয়, তা বুঝতে পারেন আধিকারিকরা। এরপরই তাঁরা নিজেরা বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। কীভাবে রাস্তার কুকুর-বিড়ালদের খাওয়ানো যায়, তার পরিকল্পনা করা হয়। ঠিক হয়, প্রতিটি থানার দু-তিনজন পুলিসকর্মী একটি গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাবেন এবং খাবার দেবেন কুকুর-বিড়ালের। দু’বেলা খাবার দেওয়া হবে। রান্না করা হবে থানা সংলগ্ন ফাঁকা জায়গাতেই। লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ। তাই টহলদারির কাজ অনেকটা কমেছে। চুরি-ডাকাতিও নেই। তাই কুকুর-বিড়ালের খাওয়াতে যদি দুই বা তিনজন পুলিশকর্মী পাঠাতে হয়, তাহলে অসুবিধার কিছু হবে না।