বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সব্জি বিক্রেতার নাম নির্মল দাস (৪৫)। তাঁর বাড়ি কল্যাণী থানা এলাকারই মাঝেরচর গ্রামে। ধৃত কিশোরের বাড়ি একই থানা এলাকার পাহাড়িপাড়ায়। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নির্মল দাস দীর্ঘদিন ধরে সব্জি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বি ব্লকের দুই নম্বর মার্কেটের ফুটপাতে সকালে সব্জির পসরা সাজিয়ে বসেন। দুপুরের মধ্যে বিক্রিবাটা হওয়ার পর উঠে যান তিনি। কিশোরের মাও ওই মার্কেটে সব্জি বিক্রেতা। তিনিও ফুটপাতে বসে নিয়মিত সব্জি বিক্রি করেন। মাঝে মধ্যে ছেলে এসে মাকে কাজে সহায়তা করতে যেত।
এদিনও সাইকেল নিয়ে মার্কেটে হাজির হয় ওই কিশোর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে বাজারের মধ্যে সাইকেল রাখা নিয়ে প্রথমে বচসা বাধে তার সঙ্গে ওই সব্জি বিক্রেতার। বচসা থেকে হাতাহাতিতে গড়ায়। ধুন্ধুমার এই কাণ্ড দেখে সকলেই হতবাক। সকলের সামনে হাতাহাতি চলার সময় ছেলেটি সজোরে একটি ঘুসি মারে প্রৌঢ়ের বুকে। ঘুসির আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত তাঁকে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে যান কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিছু পরেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর বাজার থেকে পালিয়ে যায়নি অভিযুক্ত কিশোর। পুলিস এলে আত্মসমর্পণ করে সে। মৃতের স্ত্রী শর্মিলা দাস কল্যাণী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। বি ব্লক মার্কেটের অন্য সব্জি বিক্রেতারা জানান, সাইকেল রাখা নিয়ে নির্মলের সঙ্গে ওই ছেলেটির এর আগেও দু’একবার ঝামেলা হয়েছে। সামান্য কথাকাটির পর মিটেও গিয়েছে। কিন্তু এদিন আচমকাই এমন ঘটনা ঘটল। সকলেই চিৎকার-চেঁচামেচি করে দুজনকেই থামতে বলেছিল। কিন্তু কেউই শোনেনি। দুজনেই মারপিট করতে থাকে। বুকে ঘুসি লাগার পর মাটিতে পড়ে যায় নির্মল। বাজারের নিয়মিত সব্জি ক্রেতারা বলেন, সাইকেল যত্রতত্রই রাখা হয়। ক্রেতা, বিক্রেতারা ফুটপাতের মধ্যে সাইকেল, মোটর সাইকেল রেখে ঢোকেন। এতে যানজটও হয়। পুরসভার এ বিষয়টি দেখা উচিত।