বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তড়িদাহত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে প্রকাশ, কিছু স্থানে ফিডার বক্সের ঢাকনা খোলা ছিল। হুকিংয়ের কারণে বিপত্তির দৃষ্টান্তও সামনে এসেছে। সঙ্গে দোসর হয়েছে বৃষ্টি ও জল জমার সমস্যা। এমন দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু পদক্ষেপ করেছে পুরসভার আলোক বিভাগ। ত্রিফলা এবং অন্যান্য মিলিয়ে প্রায় তিন লক্ষ বাতিস্তম্ভ পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন করে করা হচ্ছে আর্থিংও। লাইটপোস্ট পরীক্ষার জন্য ওয়ার্ড পিছু একটি ‘আর্থ মেগার’ মেশিন কেনা হয়েছে। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, প্রচারের স্বার্থে প্রতিটি পাড়ায় অটোয় করে মাইকে প্রচার করা হবে। হুকিং করা দণ্ডনীয় অপরাধ, ফলে এর থেকে বিপদের সম্ভাবনা থাকে। এমনকী, মানুষের প্রাণহানিও হতে পারে। পাড়ায় পাড়ায় এসবই প্রচার করা হবে। আলোক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সি বলেন, তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই সবদিক থেকেই আমরা সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বাতিস্তম্ভের ফিডার বক্স এমন উচ্চতায় লাগানো হয়েছে, যাতে রাস্তার জমা জল তা স্পর্শ করতে না পারে। এমনকী, শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাইটপোস্টের গায়ে প্রচারমূলক স্টিকারও লাগিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টির দিনে বাতিস্তম্ভে হাত না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেখানে। এর ফলে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ হবে, তেমনই তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও কমবে বলে মত আধিকারিকদের। এক আধিকারিক বলেন, এটা অনেকটা ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’-এর মতো ব্যাপার। শহরের বুকে তড়িদাহত হয়ে সব মৃত্যুর ঘটনায় পুরসভাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এই অভিযোগের সব ঠিক নয়। অনেক সময় বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বাতিস্তম্ভেও ঘাটতি ধরা পড়ে। তবে, আমাদের তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।