বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কলকাতা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১বি দেওদর স্ট্রিটে এক বহুতলের নীচে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পরিচারক সুবোধকুমার যাদবকে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই পরিচারককে স্থানীয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে সুবোধের জামাইবাবু দিলীপ যাদবের অভিযোগ, সুবোধকে খুন করে বহুতল থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যুক্তি হিসেবে তিনি বলছেন, প্রথমত, সুবোধের নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। দ্বিতীয়ত, তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা একটা খুনেরই ঘটনা।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে ওই পরিচারকের। তবে তাঁকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, নাকি সুবোধ নিজেই ঝাঁপ দিয়েছেন, তা পরিষ্কার নয় ময়নাতদন্তে রিপোর্টে। তাঁর একাধিক হাড় ভেঙে গিয়েছে। থুতনিতেও ক্ষত রয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের অনুমান, বহুতল থেকে পড়ার মুখে কোনও সূচালো জিনিসের সঙ্গে ধাক্কা লাগাতেই এমন ক্ষত তৈরি হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এই খুনের মামলার তদন্তে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছেন গোয়েন্দারা।
লালবাজারের এক সূত্র জানাচ্ছে, মঙ্গলবার ফ্ল্যাটে পরিচারক ও মালকিন ছাড়া তৃতীয় কেউ ছিলেন না। বছর চল্লিশের মালকিনের দাবি, তিনি যখন রান্নাঘরে ঢুকে রাতের মেনু বলতে গিয়েছিলেন পরিচারককে, তখনই মদ্যপ সুবোধ তাঁকে পিছন থেকে জাপটে ধরে। তিনি ছেড়ে দিতে বললেও তাতে কাজ হয়নি। উল্টে সুবোধ রান্নাঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। ঠিক তখনই মালকিনের মোবাইলে তাঁর স্বামীর ফোন আসে। মালিক তার কীর্তির কথা জেনে যাবে, এই ভেবে কার্যত ঘাবড়ে গিয়ে বহুতল থেকে ঝাঁপ দেয় সুবোধ। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এমনটাই দাবি করেছেন ওই মালকিন। তবে তাঁর বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করছে তদন্তকারী দল।