বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি নাম ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টিচার্স ট্রেনিং এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডব্লুবিইউটিটিইপিএ)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখনও ইনক্রিমেন্ট পাননি শুধু এমনটাই নয়, পাঠদানের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সপ্তাহে একদিন বাড়তি ছুটি দেওয়ার যে নিয়ম রয়েছে, তাও তাঁরা পান না বলে অভিযোগ। অথচ, ইউজিসি’র নিয়মেই ‘প্রিপারেটরি ডে’ হিসেবে এই ছুটি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-আধিকারিকদের তুলনায় কাজের চাপ থাকায় অনেকে সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না। তবে, বেতনের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। তাঁদেরই একজন বলেন, ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক, যাঁদের স্নাতকস্তরের ক্লাস নিয়ে হয়, তাঁরা অনেকে আমাদের চেয়ে বেশি বেতন পান। আমাদের নিয়োগপত্রেই লেখা ছিল, সরকারি নিয়ম মেনেই যাবতীয় বেতন-কাঠামো আমরা পাব। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও তা পাচ্ছি না। আরেকজন সহকারী অধ্যাপকের বক্তব্য, যেটা কলেজে পেতাম, তার থেকেও অনেকটাই কম বেতন পাচ্ছি। বলা হয়েছে, কনফার্মেশনের পর সেগুলি মিটিয়ে দেওয়া হবে। অ্যাবুটার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গৌতম মাইতি বলেন, এমফিল-পিএইচডি’র পাঁচটি অ্যাডভান্স ইনক্রিমেন্ট চাকরিতে যোগদানের সময়ই শিক্ষকদের হাতে পাওয়া উচিত। এর সঙ্গে চাকরির কনফার্মেশনের কোনও সম্পর্ক নেই। শুধু যে শিক্ষকরাই বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়, আধিকারিকদের সঙ্গেও বনিবনার অভাব রয়েছে কর্তৃপক্ষের। একের পর এক আধিকারিক পদত্যাগ করেছেন। শেষতম সংযোজন রেজিস্ট্রার তাপস বসু। তিনি চলতি সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। মাসখানেক আগেই স্থায়ী চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসার বিবেক আগরওয়াল। গত বছর পরীক্ষা নিয়ামক পদত্যাগ করেন। এছাড়াও বহু কর্মী-আধিকারিক চাকরি ছেড়েছেন। অনেকেই বলছেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু একসঙ্গে এতজনের চাকরি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা নয়। অন্দরের খবর, বিশেষ দু’জন কর্মীর বেতন ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা করতে বলা হয় ফিনান্স অফিসারকে। তিনি তাতে রাজি হননি। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হয়। শেষে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন ফিনান্স অফিসার। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের মতো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাই সেখানেও ফিরতে পারেননি। এ বিষয়ে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে বলেই জানি। তাঁদের কনফার্মেশনের কাজও চলছে। আর রেজিস্ট্রার স্থায়ী পদে ছিলেন না। ফিনান্স অফিসারকে আমরা সরাইনি। তিনি নিজেই ছেড়ে গিয়েছেন। তাছাড়া তাঁর বাবাও অসুস্থ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক না হওয়ায় উপাচার্যের ইচ্ছা থাকলেও কিছু করতে পারছেন না। ইনক্রিমেন্ট সংক্রান্ত শিক্ষকদের দাবি যথাস্থানে পাঠানো হয়েছে।