বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
টিটাগড়, বারাকপুর, উত্তর বারাকপুর, গাড়ুলিয়া, ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া এই আট পুরসভাকে নিয়ে বারাকপুর কর্পোরেশন গড়ার প্রস্তাব রয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। গত ২১ নভেম্বর বারাকপুরের মহকুমা শাসক সকল পুরসভার চেয়ারম্যানকে একটি নির্দেশিকা পাঠান। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী আটটি পুরসভাই সকল কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে কর্পোরেশনের জন্য প্রস্তাব পাশ করে। সেই সময় ভাটপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে ছিল। তবু ভাটপাড়াও কর্পোরেশনের পক্ষে সায় দেয়। এরই মাঝে কর্পোরেশন গঠনের নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ৮টি পুরসভা নিয়ে বারাকপুর কর্পোরেশন গড়া যেতে পারে বলে মঙ্গলবার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে চিঠি দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী। জেলাশাসক বলেন, কর্পোরেশন গড়া নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কর্পোরেশন গঠন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নতুন কর্পোরেশনের জন্য বিধানসভায় বিল আনতে হবে। এরপর কতগুলি বরো কমিটি হবে, তা নির্দিষ্ট করতে হবে। প্রতি ওয়ার্ড কত জনসংখ্যার নিরিখে হবে, তা ঠিক করতে হবে। তারপর ওয়ার্ড বিন্যাস এবং ওয়ার্ড সংরক্ষণ। পুরভোটের আগে সেটা সম্ভব নয়। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, আটটি পুরসভায় ভোট বন্ধ রেখে কর্পোরেশন গঠনের কাজ চালাতে পারে রাজ্য সরকার। গঠন হওয়ার পর কর্পোরেশনের ভোট হতে পারে।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের এই আট পুরসভার রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতাবস্থায় নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রায়দিন ঘটছে। বিশেষত ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ। তাছাড়া বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে। অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে সংগঠন অনেকটাই মজবুত গেরুয়া শিবিরের। এই আটটি পুরসভার মধ্যে টিটাগড়, বারাকপুর ও উত্তর বারাকপুর বাদ দিয়ে ৫টি পুরসভা গত লোকসভা নির্বাচনের পর দখল করেছিল বিজেপি। তৃণমূল কাউন্সিলারদের ‘ঘর ওয়াপসি’র পর ৫টিই পুনরুদ্ধার করেছে শাসক দল। কাউন্সিলাররা ফিরলেও কর্মী সমর্থকরা কী ফিরেছেন? সেই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।
কর্পোরেশন গড়ার তৎপরতার পিছনে পুরভোট আটকানোর অভিসন্ধি দেখছে বিরোধীরা। বিজেপির বারাকপুর জেলা কমিটির সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, কর্পোরেশন গড়ার নামে আদতে পুরভোট আটকানোর কৌশল। এই আট পুরসভায় তৃণমূল জিততে পারবে না। তাই কৌশলে এখানে ভোট বন্ধ রাখতে চাইছে তারা। কিন্তু, যেদিনই ভোট হোক, সাধারণ মানুষ তৃণমূলের বিপক্ষেই রায় দেবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রয় মল্লিক বলেন, ৮টি পুরসভা নিয়ে কর্পোরেশন হলে বারাকপুরের চেহারা বদলে যাবে। উন্নয়ন খাতে আরও বেশি টাকা বরাদ্দ হবে। পুরভোট আটকানোর কোনও কৌশল নেই আমাদের। পুরোটাই রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর দেখছে।