বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুরভোটের দামামা বেজে ওঠার উপক্রম হতেই সিপিএম এনিয়ে গা ঝাড়া দিতে শুরু করেছে। আগামীকাল সোমবার তারা শহিদ মিনার ময়দানে জনসভা করতে চলেছে। প্রধান ইস্যু এনআরসি-সিএএ হলেও জনসভায় জনস্বার্থবাহী একাধিক বিষয়কে সামনে রেখেছে তারা। তবে শুক্রবার শহরের ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর সিপিএম এখন এই জনসভাকে পুরভোটের প্রচারের সূচনা ধরেই এগতে চাইছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার কুড়ি সমর্থক জড়ো করে এই সমাবেশ করার টার্গেট নিয়েছে তারা। সমাবেশে মুখ্য বক্তা থাকছেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কল্লোলবাবু বলেন, পুরভোটে আমরা বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে থাকা ভোটকে একত্রিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। একক সাংগঠনিক শক্তিতে আমরা একাই অন্তত ৮০টি আসনে ভালো লড়াই করার মতো জায়গায় রয়েছি। কিন্তু সেটাই চূড়ান্ত নয়। আমরা চাই, ফ্যাসিবাদী দুই ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে মানুষের সার্বিক ঐক্য তৈরি করে ভোটে লড়তে। তাই বামপন্থী বিভিন্ন দলের পাশাপাশি কংগ্রেস এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির গ্রহণযোগ্য নির্দল মানুষের সঙ্গেও আসন ভাগাভাগিতে প্রস্তুত আমরা। এনিয়ে প্রাথমিক স্তরে আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। বহু বৈঠক হবে এনিয়ে। তারপর সব কিছু চূড়ান্ত হবে। তবে এবার আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলের ভোট লুটের উদ্যোগ রুখতে নামব। পঞ্চায়েত বা তারপর অন্যান্য উপনির্বাচনে কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের গণ প্রতিরোধের ছবি দেখা গিয়েছে। তাতে লাল ঝান্ডার পাশাপাশি তেরঙ্গা নিয়েও মানুষ শামিল ছিল। এমনকী, গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরাও ছিল কয়েকটি জায়গায়। এবার কলকাতা পুরভোটে আমরা এই ধরনের গণপ্রতিরোধের ক্ষেত্রে কোনও ছুৎমার্গ রাখতে চাই না। মানুষের ভোটাধিকার কাড়তে চাইলে তা রুখতে বিজেপি সমর্থকদেরও পাশে নিতে আমাদের আপত্তি নেই।