বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হাওড়া পুরসভার কর্তারা বলছেন, যে অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে, তাতে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তবে রেলিং ভেঙে পড়লে তা নীচে রেল লাইনের উপর পড়বে। তাতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আবার ব্রিজের নীচের কিছু অংশে প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানে অনেক যাত্রী অপেক্ষা করে থাকেন। কোনওভাবে রেলিং ভেঙে পড়লে নীচে প্ল্যাটফর্মে থাকা যাত্রীদের জখম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই বিষয়টি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা মেরামত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেএমডিএ’র অফিসাররা বলছেন, সেতুটি বিপজ্জনক অবস্থায় নেই। তবে যে অংশ খারাপ হয়েছে, তা শীঘ্রই মেরামত করা হবে।
হাওড়া স্টেশন থেকে মধ্য বা দক্ষিণ হাওড়ায় আসতে হলে এই বঙ্কিম সেতুই অন্যতম ভরসা। এখান দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাস, অটো ও প্রাইভেট গাড়ি চলাচল করে। অনেকে হাওড়া স্টেশন থেকে আদালত বা পুরসভায় আসার জন্য হেঁটেই সেতু পার হন। ফলে এই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রেল লাইন উত্তর হাওড়া ও মধ্য হাওড়াকে আড়াআড়ি ভাগ করেছে। এই অবস্থায় বঙ্কিম সেতু কোনওভাবে বন্ধ হয়ে গেলে মধ্য হাওড়ার সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে হাওড়া স্টেশনের পাশ দিয়ে রেল মিউজিয়াম হয়ে বিকল্প রুট বের করতে হবে। কিন্তু, হাওড়া স্টেশনের সামনে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থাকায় ওই রুট ব্যবহার করাও কঠিন। তাই বছর খানেক আগেই এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল কেএমডিএ। তার জন্য তিনদিন সেতুর একটি লেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর তারা জানিয়ে দেয়, সেতু ঠিক আছে। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দেখা যাচ্ছে, সেতুর রেলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় ফাটল। এমনকী, সেতুর শেষের অংশের ঢালাইও ভেঙে গিয়েছে। ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে এই সেতুটি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, রেলিংয়ের অংশ ভেঙে নীচে পড়লে প্ল্যাটফর্মে থাকা বহু মানুষ জখম হতে পারেন। অনেক মানুষ সেখানে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেন। ফলে এই সেতু দ্রুত মেরামতের দাবি করেছেন তাঁরা।