বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম নুর আলম শেখ (৩১) ও অজিত সাউ (৩৭)। প্রথম জনের বাড়ি কলকাতার একবালপুর রোডে। তিনি পেশায় গাড়ির চালক। দ্বিতীয় জনের বাড়ি ভাটপাড়ার রায়বাহাদুর রোডে। তিনি পেশায় শ্রমিক ছিলেন। তিন জন আহতের নাম রামবিলাস ওরফে মজিদ মোল্লা, মুন্না যাদব ও প্রদ্যুনর সিং। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে আর্যসমাজ মোড়ের একটি বেসরকারি পেপার মিল। মিল লাগোয়া একটি গ্যাসের গোডাউন রয়েছে। ওই গোডাউনে এদিন গ্যাসের গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন নুর আলম শেখ। তিনি গাড়ি গোডাউনে লাগিয়ে পাশে থাকা চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। অজিত গাড়ি থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার নামাচ্ছিলেন। মুন্না পেশায় চায়ের দোকানদার। তিনি ঘটনার সময় মিলের দেওয়ালের কাছে প্রস্রাব করতে যান। বাকি আহত দু’জনও ঘটনাস্থলে ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা মিলের দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। দেওয়ালে চাপা পড়ে যান পাঁচজনই। স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। পুলিস ও দমকল কর্মীরা এসে পাঁচজনকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান নুর আলম শেখ। গুরুতর জখম চারজনের মধ্যে অজিত সাউকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিনি এদিন দুপুরে মারা যান। বাকি তিন জন বিভিন্ন হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান বিজেপির বিধায়ক পবন সিং, তৃণমূল নেতা ধরমপাল গুপ্ত। ধরমপাল বলেন, এই পেপার মিলের পাঁচিল ভেঙে এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা অংশ ভেঙে ফেলার বা মেরামতির আবেদন জানানো হয়েছিল মিল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। আমরা মৃত দুই পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। মিল কর্তৃপক্ষকে এই টাকা দিতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, বন্ধ পেপার মিলের দেওয়ালের পাশ দিয়ে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে। বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা দেওয়াল যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। আবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। ভাটপাড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের পরিবার মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।