বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্বামীর সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সঙ্গে পলাতক জীবনে টাকার জোগান অব্যাহত রাখতে নিজের পুরনো ব্যবসা বিউটি পার্লারও খুলে বসেছিল টুম্পা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুনের পরই সে প্রেমিক চিন্ময়কে নিয়ে পালিয়ে আসে ত্রিবেণীতে। সেখানে বিউটি পার্লার খুলেছিল। তারপর সেখান থেকে চলে যায় আন্দুলে। পুলিসের অনুমান, এই সময়েই বিলাসবহুল জীবনের চাহিদা মেটাতে সে সেক্স চ্যাটের মাধ্যমে খদ্দের ধরার ফাঁদ পাতে। এর মাধ্যমে টাকা রোজগারের পাশাপাশি অতিরিক্ত রোজগারের লোভে সে ব্ল্যাকমেলও করত বলে পুলিস মনে করছে। আর সেই সূত্রেই তারাপীঠের বিলাসবহুল হোটেলে গিয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ছলাকলায় পটিয়সী, বিলাস-বৈভবে অভ্যস্ত ওই গৃহবধূ স্বামীকে খুনের ফাঁদও ছলাকলা দিয়েই পেতেছিল। ঘটনার দিন রাতে দীর্ঘদিনের বিবাদ মিটিয়ে স্বামীকে নিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব সে দিয়েছিল। তাতেই রাতে স্বামীর সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়ে যায় সে। রাতে স্বামীকে নিয়ে খাবারদাবারে মোচ্ছব করেছিল। এক ফাঁকে ডেকে নেয় প্রেমিক চিন্ময়কেও। তারপরেই মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরে খুন করে স্বামীকে। সেদিন স্বামীকে নির্মম নির্যাতন করেছিল টুম্পা। খুন ও নির্যাতন দু’য়েই সক্রিয় সাহায্য করেছিল প্রেমিক চিন্ময়। খুনের পরদিন নির্বিকার মুখে নিজের বিউটি পার্লার খুলে বসেছিল ওই গৃহবধূ। পরে পালিয়ে গেলেও জীবন থেকে দু’টি জিনিস বাদ দেয়নি, বিউটি পার্লার আর বিলাসী জীবন। তবে এই পলাতক জীবনে সে তার ছেলেকে সঙ্গে নেয়নি। তাকে আদি সপ্তগ্রামের একটি আবাসিক বিদ্যালয়ে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই পুলিস খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে। তাতে এবং জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলেই পুলিস মনে করছে।
এদিকে, নিজে যেচে গিয়ে কোন্নগরের প্রীতম চট্টোপাধ্যায় খুনের মামলার তদন্ত শুরু করিয়েছিলেন যিনি, তিনি চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর। ছেলের খুনের পলাতক অভিযুক্তরা ধরা পড়ার পরে যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মৃত প্রীতমের মা প্রীতি চট্টোপাধ্যায়ও। শনিবার তিনি বলেন, আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। উনি নিজে এসে আশ্বস্ত করেছিলেন। আর হুমায়ুন কবীর বলেন, এখন চার্জশিট করাটাই লক্ষ্য।