শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এদিকে, এদিন ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নির্দেশখালি থেকে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতেরা যুব দলের অনুগত বলে পুলিস জানিয়েছে। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় যুব শাখার দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজন। তৃণমূল কংগ্রেসের বাসন্তী ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মন্টু গাজি বলেন, এত বড় একটা ঘটনার পরও এলাকার মানুষ এখন নিজেদের শান্ত রেখেছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলের সকলকে প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা ও তাঁর উপর শ্রদ্ধা রেখেই সকলে চুপ রয়েছে। কিন্তু খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যাঁদের নাম এফআইআরে রয়েছে। সেই যুব দলের মাথা ইউসুফ আনসারি, জামাল মোল্লাদের এখনও পুলিস ধরতে পারেনি। পুলিস সুপারের কাছে আমাদের প্রার্থনা হল, অভিযুক্তদের কোনও ভাবে আড়াল করা যাবে না। কোনও চাপের কাছে পুলিস মাথা নত করলে এখানকার মানুষ তা মেনে নেবে না। তখন পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, এদিন নেবুখালির উত্তপ্ত এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখলেন ডিআইজি পি আর রাজেশ কুমার যাদব। তাঁর সঙ্গে বারুইপুর পুলিস জেলার সুপার রশিদ মুনির খান, অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু ছাড়াও পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের পাশাপাশি সিআইডির একটি দলও এলাকায় তল্লাশি চালায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, রবিবার গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনার ছক কষা হয়েছিল কাঁঠালিয়ায় তৃণমূল যুব শাখার এক মাতব্বরের ডেরাতে। ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও একাধিক সদস্য যুব শাখার হলেও পুরো এলাকা তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিশেষ করে নেবুখালি, নির্দেশখালি সহ সংলগ্ন এলাকা এখনও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের মন্টু গাজির অনুগত জাকির শেখের দখলে। সেই জায়গা যুব শিবির দখল করতে চাইলেও জাকির শেখের জন্য ঢুকতে পারছে না।
রবিবার যুব শিবির বোমবাজি শুরু করলে জাকির শিবির প্রতিরোধ তৈরি করে। ফলে যুব শিবির এঁটে উঠতে পারেনি। সোমবার পুলিসি টহল থাকায়, চুপচাপ ছিল এলাকা। মঙ্গলবার নেবুতলায় জাকিরের অনুগতদের উপর হামলা চালাতে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে যুব শিবিরের অ্যাকশন স্কোয়াড বাহিনী। আচমকা এই হামলায় জাকির শিবির ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেই সময় দলছুট হয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সইফুদ্দিন। যুব-র সশস্ত্রবাহিনী বাড়িতে ঢুকেই গুলি চালায়। জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তীতে যুব শিবিরের তাণ্ডবের জন্য বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তদের সকলকে ধরতে হবে। এ ব্যাপারে কোন অবহেলা করা যাবে না। শুধু তাই নয়, বাসন্তীর ওই খুনের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যুব শিবিরের তথাকথিত মাতব্বর আমান লস্কর, ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইউসুফ আনসারি, জালাল মোল্লাদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। কারণ, সংশ্লিষ্টরা দেহরক্ষীকে সামনে রেখে একের পর এক গোলমাল পাকিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, ওই ঘটনার পর যুব শিবিরের ওই সব নেতারা গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিসের কাছে খবর এসেছে, ক্যানিং-২ ব্লকের কোনও এক দাপুটে নেতার বাড়িতে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।