শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মেয়েটির বাবা ও মা হলেন যথাক্রমে লালটু শেখ ও সুন্দরী শেখ। ডোমজুড় থানায় কাটলিয়া মুসলমানপাড়া এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। পরিবারের দাবি, ২৬ এপ্রিল রাত থেকে স্বপ্না নিখোঁজ। তারপর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু স্বপ্নার কোনও খোঁজ মেলেনি। তারপর বারোদিন কেটে গেলেও আশার আলো দেখাতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা। পরিবারের আশঙ্কা, স্বপ্নাকে অপহরণ করা হয়েছে।
তার মা বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এক বোতল কোল্ড ড্রিঙ্ক নিয়ে স্বপ্না বাড়ি এসেছিল। অচেনা কারও কাছ থেকে জিনিসপত্র নেওয়ায় একটু বকাবকি করেছিলাম। এরপর ‘বাথরুম যাচ্ছি’ বলে ও বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যায়। অভিমান হলে সাধারণত বাড়ির বাইরে কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে আসে। ভেবেছিলাম, এদিনও তাই হবে। কিন্তু তারপর থেকে আর ফেরেনি। আমার আশঙ্কা, ওকে কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে।
স্বপ্নার বাবা বলেন, আমি দর্জির কাজ করি। অন্যদিনের মতো সেদিনও বাড়ি ছিলাম না। রাতে বাড়ি এসে শুনি, মেয়ে ঘরে ফেরেনি! আশেপাশে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি। আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতেও খোঁজ করা হয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে তাঁদের কারও কাছে যায়নি। এতে খুব আতঙ্কেই রয়েছি। পুলিসও কিছু বলতে পারছে না। থানায় বেশ কয়েকবার গিয়েছি। কিন্তু ফল হয়নি।
এদিকে, এই ব্যাপারে একটি অপহরণের মামলা রুজুসহ পুলিসি তদন্তও শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় লক্ষ্মণপুরের বাসিন্দা এক তরুণী। জগদীশপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যাওয়ার কথা ছিল তার। সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরনোর পরে আর ফেরেনি সে। অপহরণের মামলা রুজু হয় সেই ঘটনাতেও। তারপর মাস পাঁচেক পেরিয়ে গেলেও ওই তরুণীর সন্ধান পায়নি থানা।