উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর বিশ্বাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। গীতারানিও পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁদের দুই মেয়ে আছে। বিয়েও হয়ে গিয়েছে। উভয়ে কাজ করলেও সংসারে খরচের অর্থ কম দেওয়া নিয়ে অশান্তি বাধে। স্ত্রী বেশি সময় বাইরে থাকার জন্য স্বামী সন্দেহ করতেন। বিষয়টি এতটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়, একবছর আগে উভয়ে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো বিচ্ছেদের মামলা করা হয়। শুধু তাই নয়, শঙ্কর পাশেই আলাদা ঘর করে সেখানে একা বসবাস শুরু করেন। সেই ঘরেই আলাদা রান্না করে খেতেন। কার্যত দু’জনের মুখ দেখাদেখি ও কথা বলা বন্ধই ছিল।
পড়শিরা জানিয়েছেন, ওই দম্পতি আলাদা হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের বড় মেয়ে এসে মায়ের কাছে থাকতেন। গত ছ’ মাস এই কারণে কোনও বিবাদ হয়নি। কিছুদিন আগে বড় মেয়ে ঘর ভাড়া করে স্বামীর সঙ্গে চলে যান। তারপর থেকে মাঝে মধ্যে উভয়ের মধ্যে বচসা হত। মঙ্গলবার রাতেও দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তাও পড়শিরা শুনতে পেয়েছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এদিন সকাল দশটা বেজে যাওয়ার পর গীতারানির ঘরের দরজা ও সামান্য তফাতে শঙ্কর বিশ্বাসের ঘর বন্ধ থাকায় লোকজনের সন্দেহ হয়। এরপর ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন একজন গীতারানির ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি মারতেই দেখতে পান ভিতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন শঙ্কর। এরপর হইচই শুরু হয়। দম্পতির বড় মেয়েকে খবর দেওয়া হয়।
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস গিয়ে দেহ দু’টি তুলে নিয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, দু’জনের সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তার আগে থেকেই আলাদা থাকছিলেন। মঙ্গলবার বড় মেয়ে না থাকায় শঙ্কর বিশ্বাস খুনের পরিকল্পনা নিয়েই গীতারানির ঘরে ঢুকেছিলেন। এরপর ঝগড়া বাধে। সেই সময় বারান্দায় শ্বাসরোধ করে মেরে নিজে গলায় দড়ি দেন। ওই দম্পতি বড় মেয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন, বাবা প্রায় সময় মাকে খুনের হুমকি দিতেন। বলতেন, তোমাকে খুন করার পর আমিও মরব।