উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ছাত্রীরা অধ্যক্ষার ঘরের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অধ্যক্ষা একে একে সমস্যার কথা বলার জন্য ঘরে আসতে বলেন। প্রথম দিকে এক এক করে কয়েকজন ছাত্রী অধ্যক্ষার রুমে যান। কিছু পরেই হুড়মুড়িয়ে সকল ছাত্রী ঢুকে পড়েন অধ্যক্ষার ঘরে। অধ্যাপিকা, অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মীরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় হুড়োহুড়িতে কয়েকজন ছাত্রীর হাত কেটে যায়। এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। অধ্যক্ষার ঘরের বাইরের অফিসে ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুরের পর ঘেরাও করে রাখা হয় অধ্যক্ষাকে। কলেজের প্রধান গেটও ছাত্রীরা আটকে দেয়। ফলে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা কলেজের মধ্যে আটকে পড়েন।
সন্ধ্যায় বেলঘরিয়া থানার পুলিস পৌঁছয় কলেজে। পুলিস অধ্যক্ষাকে ঘেরাওমুক্ত করে। মদন মিত্র এসে অধ্যক্ষা ও ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শতাব্দী মিত্র বলেন, তিন মাস অন্তর আমাদের ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা ফি বৃদ্ধি নিয়েই বলতে গিয়েছিলাম অধ্যক্ষার কাছে। উনি শুনতে চাইছিলেন না। আমরা ওনাকে বাইরে এসে আমাদের কথা শুনতে বলেছিলাম। আমরা ওনার রুমে যেতে চাইলে পুরুষ অশিক্ষক কর্মীরা মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছেন। হাত কেটে গিয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রীরা বলেন, ভর্তির সময় বলা হয়েছিল কম্পিউটার ও স্পোকেন ইংলিশ ক্লাসের জন্য কোনও টাকা নেওয়া হবে না। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে।
কলেজের অধ্যক্ষা সোমা ঘোষ বলেন, কোনও অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে না। প্রসপেক্টাসে যা যা লেখা রয়েছে, তাই নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীদের সুবিধার জন্য তিন মাস অন্তর ফি নেওয়া হয়। বহু দুঃস্থ ছাত্রীর ফি ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবু ওরা এসে ভাঙচুর করল। আমাকে ঘেরাও করে রেখেছিল। কলেজের মূল গেট বন্ধ করে রেখেছিল। তাতে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা আটকে পড়েছিলেন। প্রাক্তন মন্ত্রী মদনবাবু বলেন, ফি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ছাত্রীরা কিছু অভিযোগ করছে। এটা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। অধ্যক্ষার সঙ্গে কথা বলব আমি।