বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তর বন্দর থানা এলাকার নিমতলা শ্মশানে এসেছিলেন নিউটাউনের এক পরিবারের সদস্যরা। সৎকারের পরে অস্থি বিসর্জনের জন্য গঙ্গার ঘাটে নামার পরই আচমকা বান আসায় তলিয়ে যান ন’জন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের মধ্যে সাতজনকে উদ্ধার করতে পারলেও দু’জন তলিয়ে যান। গঙ্গায় জোয়ার কিংবা বান আসছে কি না, কিংবা কখন ভাটা শুরু হবে— সে সব তথ্য গঙ্গার তীরবর্তী থানা এবং শ্মশানঘাটগুলিকে আগাম জানানোর কথা রিভার ট্রাফিক পুলিসের। কিন্তু ঘটনার পর দেখা যায়, সমন্বয়ের অভাবে সেগুলি আর হয়ে ওঠে না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেই যায়। এখন কলকাতা পুরসভা যদি তাদের অন্তর্গত সবক’টি গঙ্গার ঘাটে এমন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম বসানোর ব্যবস্থা করে, তাহলে স্থানীয়দের শুধু নয়, সৎকার করতে আসা বহু মানুষের সুবিধা হবে।
এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে মেয়র পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। বরোর বৈঠকে মেয়র সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হবে। যাতে ওই মূর্তিকে দূর থেকে আরও আকর্ষণীয় লাগে। নিমতলা মহাশ্মশান লাগোয়া কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাধিস্থলটিও আলো-শব্দের ব্যবহারে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। পাশেই আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সমাধিস্থলকে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে, তার ভিতরে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানো হবে। সেখানেও নানা ধরনের আলোর ব্যবস্থা করা হবে। শোভাবাজারের ঐতিহ্যশালী নাটমন্দির সংস্কার করা হবে। সেখানে সামনের অংশটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং বেদখলমুক্ত করা হবে। নিমতলা মহাশ্মশান লাগোয়া ভূতনাথ মন্দিরকেও আলোয় সাজিয়ে তোলা হবে। কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ২ নং বরোর অধীনে অনেক ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য ও স্থান রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে মেয়র এদিন খোঁজখবর নেন। যেখানে কোনও সমস্যা রয়েছে, সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কুমোরটুলি-আহিরিটোলা থেকে শুরু করে হাওড়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৪.৮৫ কিলোমিটার স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড সংস্কার করে ফের ওই পথে বাস-ছোট গাড়ি চালানো যায় কি না, তা নিয়েও কথা হয়েছে। কারণ, ওই রাস্তায় বাস ও গাড়ি চলাচল শুরু হলে স্ট্র্যান্ড রোডের উপরে যে গাড়ির চাপ পড়ে বা যানজট হয়, তা অনেকটাই কেটে যাবে বলে মনে করেন মেয়র। তিনি বলেন, এব্যাপারে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। যাতে ওই রাস্তা দিয়ে ফের বাস চালানো যায়। বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে মূলত লরি বা ট্রাক চলাচল করে।