বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন মোতাবেক নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ৩৩টি বাজি এদিন পরীক্ষা করা হয়। ২২টি বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলের (পশ্চিমবঙ্গে শব্দবাজি ঊর্ধ্বসীমা) বেশি ছিল। বাকিগুলির মধ্যে ছ’টি ঠিক মতো না ফাটায় সেগুলি বাতিল করা হয়। অর্থাৎ মাত্র পাঁচটি বাজি পরীক্ষায় পাশ করেছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, গত কয়েকবছরের তুলনায় এই পরিসংখ্যান অনেক আলাদা।
এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাজি ব্যবসায়ী সমিতির অনেকেই। শুভঙ্করবাবুর কথায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বাজি পরীক্ষায় অনেক কিছুই নতুন হয়েছে। তাই এই বাজি পরীক্ষা আদৌ কতটা সঠিক হয়েছে, তা নিয়ে তাঁরা সন্দিহান। তাঁর দাবি, প্রত্যেকবার তিনটি আলাদা মেশিনে বাজির শব্দমাত্রা পরিমাপ করা হয়। তারপর সেই পরিসংখ্যানের গড় নির্ধারণ করে বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। অথচ এ বছর পর্ষদের পক্ষ থেকে মাত্র একটি মেশিনই আনা হয়েছিল। তাতেই যা শব্দমাত্রা দেখিয়েছে, সেটাকেই চূড়ান্ত হিসেবে ধরা হয়েছে। প্রত্যেকবার পুলিস, দমকল, বিস্ফোরক বিভাগ সহ ব্যবসায়ীদের বাজি পরীক্ষার পর সেটি কত মাত্রায় ফাটল, তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। কিন্তু, এবার পর্ষদের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয়নি। এছাড়াও প্রত্যেক বছর বাজি পরীক্ষার জন্য সেটিকে ঠিক যেরকম জায়গায় (কংক্রিটের চাতাল) বসানো হয়, এ বছর তা করা হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, টালা ব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে টালা পার্কের পাশ দিয়ে এখন প্রচুর বাস-গাড়ি যাচ্ছে। তাই এলাকায় শব্দের দাপট বেড়েছে। সেই প্রভাব শব্দবাজি পরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও পড়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তবে এদিনের পরীক্ষা শিবির নিয়ে সরকারিভাবে কোনও প্রতিবাদ ব্যবসায়ী সমিতিগুলির পক্ষ থেকে আর জানানো হচ্ছে না। কারণ এখন অভিযোগ জানাতে গেলে নতুন করে বাজি পরীক্ষা সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া করতে অনেক বিলম্ব হয়ে যাবে। ফলে বাজি বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এ বছর পর্ষদের রিপোর্ট মেনে নিয়ে আগামীবছর আগে থেকেই এ বিষয়ে আবেদন করা হবে বলে শুভঙ্করবাবু জানান।
এদিকে, বাজি পরীক্ষা সম্পর্কে কলকাতা পুলিসের ডিসি (আরএফ) সুখেন্দু হীরা বলেন, গত বছর পর্যন্ত ১০৮টি বাজি নিষিদ্ধ ছিল। এ বছর সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও ২২টি বাজি। অর্থাৎ মোট ১৩০টি বাজি নিষিদ্ধের তালিকায় এল।