বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত অংশে ৪.৮৮ কিলোমিাটারের মধ্যে প্রথমে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এই পর্বে মোট ছ’টি স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। ট্রেন চালানোর জন্য যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। মিলেছে ট্রেন চালানোর চূড়ান্ত ছাড়পত্রও।
মেট্রো রেলের এক কর্তা বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্বে থাকবে মেট্রো রেল। বর্তমান মেট্রোর সঙ্গে নয়া মেট্রোর অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। তাই নয়া মেট্রো পথের যাবতীয় ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা খুব জরুরি। গত আগস্ট মাসে এক সপ্তাহের বিশেষ ‘ট্রায়াল রান’-এ সেই কাজটিই করা হয়েছিল। ট্রায়াল রানে ‘যাত্রী’ হিসেবে ট্রেনে সফর করেছিলেন মেট্রোর কর্মী-অফিসাররাই। সেই সময় ট্রেনের দরজা এবং প্ল্যাটফর্মে বসানো স্ক্রিন ডোরের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে সমন্বয় রক্ষার সমস্যা দেখা গিয়েছিল। মূলত প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইনে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার ঘটনা এড়াতেই এই পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এতে প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকে এমনভাবে দাঁড়াবে, যাতে ট্রেনের দরজার সামনেই পড়বে স্ক্রিন ডোরগুলি। ট্রেনের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিন ডোরও খুলে যাওয়ার কথা। আগের ট্রায়ালে কিছু ক্ষেত্রে এই সমন্বয় রক্ষা করা যায়নি। আরও কয়েকটি বিষয়ও ছিল। তাই ফের ‘ডামি রান’-এর আয়োজন করা হচ্ছে। তাতে প্রতিটি বিষয় দেখে নেওয়া হবে। কাউন্টার থেকে টোকেন ইস্যু করা হবে। যাত্রী হিসেবে ট্রেনে সফর করবেন কর্মী-অফিসাররাই। এই মেট্রো পথে শুরুতে ২০ মিনিট অন্তর ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। মোট দূরত্ব ‘কভার’ করতে ১৬ মিনিট সময় লাগার কথা। ডামি রানে কতটা সময় লাগছে, ট্রেনের গতি, সিগন্যাল সহ যাবতীয় ব্যবস্থা দেখা হবে।
কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবার সূচনা হবে কবে? বিষয়টি নিয়ে মেট্রো রেলের এক কর্তা বলেন, গত ২ অক্টোবর পরিষেবা সূচনার দিন হিসেবে মাঝে একবার কথা হয়েছিল। কিন্তু, বউবাজারে টানেলে দুর্ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু দিন চর্চা বন্ধ ছিল। বর্তমান মেট্রো রেলের এসপ্ল্যানেড থেকে নেতাজি ভবন পর্যন্ত যাত্রার সূচনা হয় ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর। তাই আগামী ২৪ অক্টোবর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম পর্যায়ে ট্রেন পরিষেবা সূচনা করা যায় কি না, তা নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে, রেল বোর্ড এখনও কিছু জানায়নি।