বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বউবাজারে মেট্রো রেলের কাজ চলাকালীন হঠাৎই এলাকার একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের দ্রুত এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খোদ কলকাতার মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটায়, দ্রুত পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের। কারণ যে কোনও ধরনের বিপর্যয় ঘটলে তাঁদের উদ্ধার কাজে যেতে হয়। যত কম সময়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবেন, আটকে পড়া মানুষজনকে তত দ্রুত রক্ষা করা সম্ভব হবে। এই বিষয়টি সিভিল ডিফেন্সের কাজে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পায়।
বউবাজারের ঘটনার পরই বিভিন্ন জেলায় বিপর্যয় মোকবিলায় হালহকিকৎ কী, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়। তা করতে গিয়ে অফিসারদের নজরে আসে, অধিকাংশ জেলাতেই অবস্থা বেশ খারাপ। হঠাৎ করে বড় কিছু ঘটে গেলে তার মোকাবিলা করা অত্যন্ত কঠিন। ঘটনাস্থলে যেতেই কয়েকঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। তারপর প্রস্তুত হয়ে কাজ শুরু করতে লাগছে আরও বেশ কিছু সময়। পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, কলকাতার সদর দপ্তর থেকেই বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যেতে হচ্ছে জেলায়। সাব ডিভিশনে যে পরিমাণ সরঞ্জাম রয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। যা দিয়ে জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষিত কর্মীও নেই। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্তার কথায়, জেলায় বিভিন্ন সময়ে বাস দুর্ঘটনা, নৌকাডুবি আগুন লাগা বা বাড়ি ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এর সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় যুক্ত রয়েছে। এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলায় তাঁদেরই ডাক পড়ে।
সেই কারণেই রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব যায়, প্রতিটি জেলায় সিভিল ডিফেন্সের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার। যাতে হেড কোয়ার্টারের উপর ভরসা না করতে হয়। সূত্রের খবর, তাতে অনুমোদন মিলেছে। এরপরই জেলায় জেলায় ইউনিট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রতিটি ইউনিট বা টিমে আট থেকে নয়জন প্রশিক্ষিত কর্মী থাকবেন। একাধিক টিম থাকবে। ইতিমধ্যেই ভালো সংখ্যক কর্মীকে উদ্ধারকাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জেলা সদরে রাখা হবে। কর্তাদের বক্তব্য, শুধু তাঁদের রাখলেই হবে না। যদি উপযুক্ত সরঞ্জাম না দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের রাখা অর্থহীন। সেই কারণেই প্রতিটি টিমের সঙ্গে রাখা হচ্ছে ৩৫টি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। যা দিয়ে যে কোনও ধরনের বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব। দ্রুত যাতায়াতের জন্য রাখা হচ্ছে লরিও। ইতিমধ্যেই প্রায় সমস্ত জেলাতেই তা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। আগামী দিনে বিদেশি কিছু যন্ত্র কেনার পরিকল্পনা রয়েছে দপ্তরের। যার জন্য কাথাবার্তা চলছে বলে খবর।