উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর প্রথম বক্তৃতায় দলের সদর দপ্তর থেকে মোদি বলেছিলেন, মধ্যবিত্তই দেশের চালিকাশক্তি। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে। হঠাৎ এই উপলব্ধি কেন? ভোটপর্ব শুরুর আগেও তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, এখন অপেক্ষার সময়। ২০৪৭ পর্যন্ত দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেলে এমনিতেই চাকরিজীবী শ্রেণি অনেক কিছু পাবেন।
বিরোধীরা কটাক্ষ করছে, সেই প্রধানমন্ত্রীর ভোলবদল কি শুধুই জোটের প্যাঁচে? এখন মধ্যবিত্ত চালিকাশক্তি হয়ে গেল? অষ্টম পে কমিশন কার্যকর হলে ৪৯ লক্ষ কেন্দ্রীয় কর্মী এবং ৬৮ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী উপকৃত হবেন। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ প্রযুক্ত হয়েছিল ২০১৬ সালে। এদেশে প্রথম পে কমিশন গঠিত হয় ১৯৪৬’এ। পে কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন নির্ধারিত হবে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধির মাধ্যমে। অন্যতম জল্পনা হল, ৩.৬৮ গুণ বাড়তে পারে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। সেক্ষেত্রে ৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেসিক পে বাড়বে। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, আসন্ন বাজেটে আয়করে কি সরকার কোনও ছাড় দেবে? কারণ দেশের মাত্র ৪৯ লক্ষ কেন্দ্রীয় কর্মীর পরিবার রয়েছে। তার বাইরে সরকারি-বেসরকারি জীবিকার বৃত্তে কোটি কোটি মধ্যবিত্ত। তাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা, আয়করে ছাড়। এই কাঠামোয় বড়সড় বদল এই জমানায় হয়নি। যদিও অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, এবারের বাজেট নয়, ২০২৫’এর পূর্ণাঙ্গ বাজেটে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি এবার সরকারের সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পগুলিকে দ্রুত এবং কার্যকরী করার দিকেও জোর দেওয়া হবে বলে গ্রামোন্নয়নের মন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জানিয়েছেন নতুন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা এবং লাখপতি দিদি প্রকল্পের উল্লেখ করেছেন তিনি। নির্বাচনের ফলাফলের জেরে চন্দ্রযান, গগনযান, বুলেট ট্রেন থেকে নেমে এসে মোদির তৃতীয় সফর দাঁড়াতে চাইছে বাস্তবভূমিতে। লক্ষ্য, মা-মাটি-মানুষ!