কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এই তালিকায়? কলকাতা, বীরভূমের বিশ্ববাংলা, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদীয়ার কল্যাণী ও কন্যাশ্রী, পূর্ব মেদিনীপুরের মহাত্মা গান্ধী, মালদহের গৌড়বঙ্গ, উত্তর ২৪ পরগনার পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনও আধিকারিক নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীন। এছাড়া সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষাদপ্তরের অধীন কলকাতা তথা নিউটাউনের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষিদপ্তরের অধীন নদীয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। ইউজিসির তালিকায় অবশ্য আইআইইএসটি এখনও উল্লিখিত রয়েছে বেসু নামেই। এটি অবশ্য বেশ কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গিয়েছে।
রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে আচার্যের সঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও আইনি লড়াই লড়ছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন সেই বিষয়টি। অভিযোগ, রাজ্যপাল এক তরফা অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাথায় অনেক নন-অ্যাকাডেমিক বা শিক্ষাজগতের বাইরের লোককে বসিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা শূন্য। তা চলছে রাজভবনের নির্দেশে। ফলে ইউজিসির এই তালিকায় আঙুল রাজভবনের দিকেই ওঠা উচিত বলে মনে করছে শিক্ষকমহল।
এই তালিকায় অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয়, গোটা দেশের প্রায় সব রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নাম রয়েছে। তথাকথিত ধনী বা বিভিন্ন মাপকাঠিতে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলির বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও রয়েছে। যে কর্ণাটককে শিক্ষায় এগিয়ে থাকা রাজ্য হিসেবে ধরা হয়, সেখান থেকে রয়েছে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় প্রভৃতি রাজ্যগুলি থেকেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এই তালিকায়। কিছু কিছু রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের মতো সমস্যা থাকলেও বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই তা নেই। তাহলে কেন এই গড়িমসি, তার উত্তর মিলছে না। এই বছরের শুরুতেই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সতর্ক করেছিল ইউজিসি।