নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য বা জাতীয় সড়ক দীর্ঘ যাত্রাপথ। এই লম্বা রাস্তায় শৌচালয়ের কোনও ব্যবস্থা ছিল না আগে। সরকারে আসার পর রাস্তার ধারে পথসাথী থেকে শুরু করে শৌচাগার তৈরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে এখানে নাকাল হতে হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। কারণ এই সমস্ত জায়গায় অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে শৌচাগার থাকলেও জলের অভাবে তা ব্যবহারের অযোগ্য। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনকেই এই পরিকাঠামোর বিদ্যুতের বিলের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। বিদ্যুতের অপচয় আটকানোর পাশাপাশি মানুষের সমস্যা লাগব করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সাধারণত এই সমস্ত পরিকাঠামো তৈরির দায়িত্বে থাকে রাজ্যের পূর্তদপ্তর। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিকাঠামো হস্তান্তর হয়ে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সংক্রান্ত খরচ বহন করা নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়। সম্প্রতি বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে প্রতিটি দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। তার পর নড়েচড়ে বসেছে সমস্ত দপ্তর। পূর্তদপ্তরের পদস্থ কর্তারাও এ নিয়ে বৈঠক করেন। বিদ্যুৎ বিল কমানোর বিষয়ে এই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেন পূর্তদপ্তরের আধিকারিকরা। এই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তৈরি খসরা পাঠানো হয়েছে প্রতিটি জেলায় নিযুক্ত দপ্তরের আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের। তাতেই উঠে এসেছে শৌচাগার, মোটেল, পথসাথী, স্টেডিয়াম ইত্যাদি পরিকাঠামোয় ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত বিষয়টি। বলা হয়েছে, নির্মাণ কাজের পর যে সংস্থার হাতে পরিকাঠামো তুলে দেওয়া হবে, সেই সংস্থাকেই বহন করতে হবে বিদ্যুতের বিলের খরচ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ডব্লুবিএসইডিসিএল। সংশ্লিষ্ট এলাকায় এই সংস্থা নিযুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই গোটা বিষয়টির নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে পূর্তদপ্তর। একই সঙ্গে অনেক জায়গায় পূর্তদপ্তরের অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নতুন বাড়িতে। ফলে পুরনো অফিসগুলি ফাঁকা পড়ে। এই সমস্ত জায়গায় পূর্তদপ্তরের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ যাতে না চলতে পারে এই বিষয়টিতেও নজর দিতে বলা হয়েছে। এই সংক্রান্ত সমস্ত কাজ শেষ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নবান্নে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।