কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জুন মাসটি বর্ষার প্রথম মাস। এবার উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অংশে নির্ধারিত সময়ের ছ’দিন আগে, ৩১ মে মৌসুমি বায়ু ঢুকে যায়। এরপর মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতি ২০ দিন থমকে থাকে রাজ্যের উপর। দীর্ঘ বিরতির পর উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুরে পুরোপুরি এবং মালদহ জেলার কিছু অংশে বৃহস্পতিবার বর্ষার প্রবেশ ঘোষণা করেছিল আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে মালদহের বাকি অংশেও বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। দেরিতে প্রবেশ করার জন্য জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। জেলার ভিত্তিতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯৫ থেকে ৩৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। উত্তরবঙ্গের মালদহে ঘাটতি রয়েছে ৭৩ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিকর্তা জানিয়েছেন, জুন মাসে বৃষ্টি কম হলেও চাষবাসের জন্য এই পরিস্থতি তেমন উদ্বেগজনক নয়। কিন্তু জুলাই মাসেও কম বৃষ্টি চলতে থাকলে তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। চাষবাসের জন্য ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হওয়া জরুরি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর তাদের দীর্ঘকালীন পূর্বাভাসে ইঙ্গিত দিয়েছে, জুনের চতুর্থ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হবে। এটা দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হতে পারে।
আবহাওয়া অধিকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গে আপাতত হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিরার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। শনিবারের পর বৃষ্টির পরিমাণ দক্ষিণবঙ্গে ফের কমে যাবে। বৃষ্টি হ্রাসের এই পরিস্থিতি চলবে দিনকয়েক। তারপর তা আবার কিছুটা বাড়বে। কিন্তু আপাতত দিনপাঁচেক দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়ার দপ্তর জানিয়েছে,আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশ ছাড়া ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের আরও কিছু অংশে বর্ষা ঢুকবে। ইতিমধ্যেই পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যগুলির কিছু অংশে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। বর্ষা কিছুদিনের মধ্যে উত্তর ভারতেও ঢুকবে বলে আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন।