ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
শুরুটা করেছিল ধামাকা দিয়ে। স্যামসাং ফেব্রুয়ারি মাসের শেষটাও করতে চলেছে সেই ধামাকা দিয়েই। গোড়ার দিকে এম-১০ আর এম-২০ বাজারে এনে মধ্যবিত্ত ভারতীয়দের মন জয় করেছিল। এবার মাসের শেষে তুরুপের থুড়ি সিরিজের শেষ তাসটা (পড়তে হবে ফোন) আস্তিন থেকে বের করল এই দক্ষিণ কোরীয় সংস্থা। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিশ্বের সামনে হাজির করল এম সিরিজের সর্বশেষ ফোন তিন ক্যামেরাওয়ালা এম ৩০। যে দামে এই ফোন বাজারে আনার কথা হাওয়ায় ভাসিয়েছে স্যামসাং, তাতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাওমিকে বেশ বেকায়দাতেই পড়তে হবে বলে অনেকে মনে করছেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট আমাজনে ফোনটিকে লঞ্চ করতে চলেছে স্যামসাং। দাম? ১৫ হাজার টাকার আশেপাশে। ফিচার নিয়ে বলতে গেলে তালিকাটা ক্রমশ লম্বা হতে থাকবে। এম ৩০-তে রয়েছে ওয়াটারড্রপ নচ ডিসপ্লে। সূত্রের খবর, এই ফোনে ৬.৩৮ ইঞ্চির সংস্থার ট্রেডমার্ক অ্যামোলেড স্ক্রিন থাকবে ফুল এইচডি রেজোলিউশন সমেত। ব্যাক প্যানেল বা কভার প্লাস্টিক নাকি মেটালের হবে, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সামনের ক্যামেরাটি আবার ১৬ মেগাপিক্সেলের। এক্সিনোস ৭৯০৪ চিপসেট এম ৩০-কে মাঝারি দামের স্মার্টফোনের দুনিয়ায় অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে। এর সঙ্গে পারফরম্যান্স আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে থাকছে ৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবির স্টোরেজ। এছাড়াও অপারেটিং সিস্টেমে অ্যান্ড্রয়েডের লেটেস্ট পাই ভার্সন থাকছে। এখনও একটা গুরুত্বপূর্ণ গুণের কথা তো বলাই হয়নি। সেটা হলো এই ফোনের ব্যাটারি আর দ্রুত চার্জিংয়ের ক্ষমতা। জানা গিয়েছে, ৫ হাজার এমএএইচ ক্ষমতাসম্পন্ন এই ব্যাটারি একবার চার্জ দিলে হেসেখেলে দু’দিন চলে যাবে। দ্রুত চার্জিংয়ের জন্য স্যামসাং দিচ্ছে টাইপ সি কেবল-সহ দ্রুতগতির চার্জারও।
মোটোরোলা জি ৭ পাওয়ার
আম আদমির স্মার্টফোনের তালিকায় এর পরেই রয়েছে মোটোরোলা জি ৭ পাওয়ার। তিনদিন হল ভারতে নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আর ফ্লিপকার্টে এটি লঞ্চ করেছে মোটোরোলা। এছাড়াও সংস্থার সমস্ত রিটেল আউটলেটেও মিলবে এই ফোন। দাম ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। তবে, ৪ জিবি র্যাম ৬৪ জিবির এই ফোনের সবচেয়ে বড় ফিচারটি হল, এর ব্যাটারি। ৫ হাজার এমএএইচ ক্ষমতাসম্পন্ন এই ব্যাটারি একবার চার্জ দিলে ৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে বলে দাবি মোটোরোলার। ১৫ ওয়াটের টার্বো পাওয়ার চার্জিংয়ের দৌলতে মাত্র ১৫ মিনিটে ৯ ঘণ্টা চলার মত চার্জ দেওয়া যাবে। ১.৮ গিগাহার্টজ গতির স্ন্যাপড্রাগন ৬৩৬ প্রসেসর আছে জি ৭-এর। আছে অ্যাড্রেনো ৫০৬ জিপিইউ। মেমোরি বাড়ানো যাবে ৫১২ জিবি পর্যন্ত। অ্যান্ড্রয়েডের সর্বাধুনিক পাই ভার্সনে চলা এই ফোনে ফেস আনলক, ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর ও ছোট্ট নচ সম্বলিত ৬.২ ইঞ্চির ‘এইচডি প্লাস ম্যাক্স ভিশন’ ডিসপ্লেও আছে। পিছনে ১২ মেগাপিক্সেলের ২.০ অ্যাপার্চারের ক্যামেরা দিয়েই ক্ষান্ত দিয়েছে। আর সামনে রয়েছে ২.২ অ্যাপার্চার সম্বলিত ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফোনের ক্যামেরার সঙ্গে গুগল লেন্সকে জুড়ে দিয়ে গ্রাহকদের মন পাওয়ার চেষ্টা করেছে।
শাওমি রেডমি নোট ৭
ভারতের স্মার্টফোনের বাজারে ধূমকেতুর মতো উদয় ঘটেছে তার। চীনের সামগ্রীকে যতই ঠুনকো বলে গাল দিন না কেন, শাওমির তাতে কিচ্ছুটি যায় আসে না। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ফের চমক দিতে তৈরি হয়েছে তারা। ওইদিনই ভারতে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে তাদের বহুপ্রতীক্ষিত ফোন রেডমি নোট ৭। জনতাকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই জানিয়েছে শাওমি। ফোনটির বিভিন্ন ভ্যারিয়ান্টের দাম ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা থেকে ১৪ হাজারের কিছু বেশি টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে পারে। নোট ৭-কে ফিচারে ভরিয়ে দিয়েছে শাওমি। তা সে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাই হোক বা আকর্ষণীয় ফুল গ্লাস বডি। সেই সঙ্গে ৬.৩ ইঞ্চির ফুল এইচডি-প্লাস ওয়াটার ড্রপ নচ ডিসপ্লে থাকছে। আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ প্রসেসর। ৩ জিবি+৩২ জিবি এবং ৪ জিবি+৬৪ জিবি দু’টি মডেলে মিলবে এই ফোন। ব্যাটারি ৪০০০ এমএএইচ ক্ষমতাসম্পন্ন।
ভিভো ভি ১৫ প্রো
শাওমির মতই ভিভো ভি ১৫-এও থাকবে ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখ বাজারে আসতে পারে এই ফোন। আপাতত ফ্লিপকার্টেই পাওয়া যাবে। ফোনটির বডি হবে মিরর ফিনিশ। পিছনে সর্বোচ্চ ৪৮ মেগাপিক্সেল-সহ মোট ৩টি ক্যামেরা থাকবে। সামনে থাকবে ৩২ মেগাপিক্সেলের ‘পপ আপ’ ক্যামেরা। সেলফি তুলতে হলে ফোনের মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে এই ক্যামেরা। আলাদা করে কোনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর থাকবে না। ডিসপ্লের মধ্যেই রাখা হয়েছে তাঁকে। খবর মিলেছে, স্ন্যাপড্রাগন ৬৭৫ প্রসেসর থাকবে এই ফোনে। র্যাম ৬ জিবি এবং স্টোরেজ ১২৮ জিবি। ৬.৩৯ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লে গেমিংয়ের উত্তেজনাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে দাবি ভিভো। এর সঙ্গে ৩৭০০ এমএএইচ ক্ষমতার ব্যাটারি যোগ্য সঙ্গত দেবে। সূত্রের খবর, ৩০ হাজারের আশেপাশে থাকতে পারে এর দাম।