ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
সপ্তপর্ণী রাজ্যে গণবিক্ষোভের জের সামলাতে বৃদ্ধ রাজা অন্তর্জলিতে গেলেন। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে রাজা নির্বাচিত করা হল সুমঙ্গল বর্মাকে। যদিও এই নির্বাচন সাধারণ মানুষের দ্বারা হয়নি, আচার্যদেবের পছন্দ অনুসারে তাঁকে রাজা করা হয়। সাধারণ মানুষ ভাবে এখনকার রাজা বোধহয় তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনবেন, সমাধান করার চেষ্টা করবেন। রাজ্যের কুলদেবী বজ্রবাসিনী সুমঙ্গলকে একটি তরবারি দিয়ে বলেন, পাপ করলে তরবারি ছোট হয়ে যাবে। প্রথমদিকে সুমঙ্গল প্রজাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনলেও ধীরে ধীরে তার চরিত্রে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। এই পরিবর্তনের প্রধান কাণ্ডারী সুমঙ্গলের ভাই সৌমজিৎ।
তার সঙ্গে থাকতে থাকতে সুমঙ্গল ক্রমশ বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সুরাপান ও নারীসঙ্গ হয়ে ওঠে তার নিত্যনৈমিত্যিক কাজ। ক্রমশ সে প্রজাদের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এই খবর পৌঁছে যায় বৃদ্ধ রাজার কানে। সুযোগ বুঝে রাজার পরামর্শে সুমঙ্গলের ভাবমূর্তি খারাপ করতে ষড়যন্ত্রে নেমে পড়ে মন্ত্রী, আচার্যদেব, সেনাপতি ও রানি স্বয়ং। দেবীর দেওয়া তরবারি ক্রমশ ছোট হতে শুরু করে। এমন সময় রাজ্যে আসেন সুমঙ্গলের মামা অর্কদাস। যোদ্ধা অর্কদাসের হুঁশিয়ারিতে চেতনা ফেরে সুমঙ্গলের। সে রাজার পদ ছেড়ে সাধারণ মানুষদের নিয়ে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। খর্বাকৃতি তরবারি ফের পুরনো আকার ফিরে পায়। জনতার মিছিল যখন রাজপ্রাসাদের দিকে এগয়, তখন এক ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে সব তছনছ হয়ে যায়। অন্ধকারের মধ্যে চক্চক্ করে ওঠে দৈব তরবারি।
সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এই নাটক। মঞ্চ ভাবনা ও নির্দেশনায় জয়ন্ত দীপ চক্রবর্তী অনবদ্য। সুমঙ্গলের চরিত্রে অর্ণব দাস, রাজার চরিত্রে প্রবাল চক্রবর্তী ও অর্কদাসের চরিত্রে শাহাজাদা পারভেজের অভিনয় মনে রাখার মতো।
চিন্ময় গড়গড়ি