কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শনিবার আক্রমণভাগে রোনাল্ডোকে সামনে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন পর্তুগালের কোচ। রেকর্ড ষষ্ঠ আসরেও সিআরসেভেনই ফোকাসের কেন্দ্রে। ম্যাচের শুরতে তুরস্কের ডিফেন্ডার ফেরদি কাদিওগলুকে মাটি ধরাতেই গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস। মহাতারকার সঙ্গে সেলফি তুলতে তিনবার ভিন্ন অনুরাগী মাঠে প্রবেশ করেছিলেন। পাশাপাশি এদিন একটি অ্যাসিস্ট করে ইউরোতে সবচেয়ে বেশি গোলের সুযোগ তৈরিতে লুইস ফিগোকে ছুঁয়ে ফেললেন সিআরসেভেন (৪২টি)।
এদিন শুরুতে অবশ্য পর্তুগালকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ভিনসেঞ্চো মন্টেলার দল। ষষ্ঠ মিনিটেই লিড নিতে পারত তুরস্ক। হাকান কালহানগলুর বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ কেরিম আকতুরকোগলু। উল্লেখ্য, চোটের কারণে তরুণ আদ্রা গুলারকে প্রথম একাদশে রাখেননি কোচ ভিনসেঞ্চো। তাঁর অভাব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। এরপর ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খেলা থেকে হারিয়ে যেতে থাকে তুরস্ক। সেই সুযোগে ২১ মিনিটে পর্তুগালকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন বের্নার্ডো। রাফায়েল লিয়াওয়ের থেকে বল পেয়ে বাঁ দিক থেকে বক্সে বাড়ান নুনো মেন্ডিস। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে তা ফাঁকায় পেয়ে যান বের্নার্ডো। সুযোগের সদ্ব্যবহারে ভুল হয়নি ম্যাঞ্চেস্টার সিটির তারকা ফুটবলারের। বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান সিলভা (১-০)। এই পর্বে একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে পর্তুগাল। তারমধ্যেই ডিফেন্ডার সেমেত আকায়দিনের ক্ষমার অযোগ্য আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনাল্ডোরা। জোয়াও কানসেলোদের আক্রমণ তুরস্কের বক্সের আগেই খেই হারিয়ে ফেলেছিল। সেই বল পেয়ে বখাটে ছেলের মতো ব্যাক পাস বাড়ান আকায়দিন। কিন্তু গোলরক্ষক নিজের পজিশনে ছিলেন না। অগত্যা বল জালে জড়ায়। ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়তেই লড়াইয়ে ফেরার লক্ষ্যে মরিয়া চেষ্টা চালায় ভিনসেঞ্চোর দল। বেশ কয়েকবার পতুর্গাল রক্ষণে ভয়ও ধরিয়েছিলেন কালহানগলুরা। কিন্তু প্রশংসা করতে হবে বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার পেপের। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকবার দলের পতন রোখেন তিনি। অন্যদিকে, ৩৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রোনাল্ডোর দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের চিত্রটা বদলায়নি। ৫৫ মিনিটে সিআরসেভেনের পাস থেকে গোল করে পর্তুগালের জয় নিশ্চিত করেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। তুরস্কের ডিফেন্ডাররা অফ সাইডের ফাঁদ সাজাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। তারই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সতীর্থকে বল সাজিয়ে দেন পর্তুগিজ মহাতারকা। জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি ব্রুনোর (৩-০)।