পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ঘোষণা করেন, ‘আন্তর্জাতিক ওলিম্পিক সংস্থার প্রধান টমাস বাখের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনার পর ২০২০ টোকিও ওলিম্পিকস ও প্যারালিম্পিকস স্থগিত করে দেওয়া হল।’ শিনজো আবের এই ঘোষণা সমর্থন করেছেন জাপানের ওলিম্পিকস আয়োজনের সঙ্গে জড়িত সমস্ত ব্যক্তিরা। এর আগে বিশ্বযুদ্ধের সময় ওলিম্পিকস বন্ধের নজির ছিল। কিন্তু ১২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন ও ভাইরাসের আক্রমণে ওলিম্পিকস পিছিয়ে গেল। এর আগে ১৯১৬ সালে বার্লিন ও ১৯৪০ সালে টোকিওতে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ওলিম্পিকস বন্ধ হয়েছিল। একই কারণে ১৯৪৪ সালে লন্ডন ওলিম্পিকস বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭২ মিউনিখ ওলিম্পিকস ও ১৯৮০ মস্কো ওলিম্পিকস রাজনৈতিক কারণে বাতিল হয়ে যায়। এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, বিশ্বযুদ্ধ ও তার পরবর্তী প্রভাবের জন্য ওলিম্পিকস বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু কোনও মারণ ভাইরাস যে ওলিম্পিকসের মত কোন ও বিরাট কর্মযজ্ঞকে ভেস্তে দিতে পারে তার চরম নিদর্শন হয়ে থাকবে এবারের টোকিও গেমস। কাকতালীয় হলেও ওলিম্পিকস ভেন্যু হিসেবে টোকিও অভিশপ্ত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ১৯৪০ সালের পর আবার এই বছর টোকিওতে গেমস হলো না। ২০২১ সালে টোকিওতে গেমস হবে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে আইওসি।
এদিন শিনজো আবে ও টমাস বাখের এক বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। যেখানে প্রশংসিত হয় টোকিও ওলিম্পিকস আয়োজক কমিটির কাজকর্ম। বিশেষ করে যেভাবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করে ওলিম্পিকস সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে আয়োজক কমিটি। এই বৈঠকে উঠে আসে কীভাবে করোনা ভাইরাস জনজীবন বিপর্যস্ত করছে। যার ফলে ক্রীড়াবিদদের ওলিম্পিকসের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটছে। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন বাছাই পর্বের টুর্নামেন্ট। এমন এক পরিস্থিতিতে এই গেমস স্থগিত করে দেওয়াই শ্রেয়। ওলিম্পিকস এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার ফলে জাপানের বিরাট আর্থিক ক্ষতি হল। একইসঙ্গে ক্ষতির সম্মুখীন হল আইওসি এবং ওলিম্পিকসের স্টেকহোল্ডাররাও।