পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
অস্ট্রেলিয়া ওলিম্পিক কমিটির প্রধান ম্যাট ক্যারল জানিয়েছেন, ‘আইওসি’র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা মতামত উপেক্ষা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার অগ্রাধিকার সবার আগে। ২০২১ সালের গ্রীষ্মে ওলিম্পিকস হলে ক্ষতি নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য হাতে অনেক সময় আছে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইওসি।’ সিডনি থেকে সোমবার ক্যারল সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তাই সব বিবেচনা করেই আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।’ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সোমবারই ইঙ্গিত দিয়েছেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যদি সব ইভেন্ট শেষ করা না যায় তাহলে টোকিও ওলিম্পিকস স্থগিত হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া ওলিম্পিক টিমের শ্যেফ অব দ্য মিশন ইয়ান চেষ্টারম্যান বলেছেন, ‘আমাদের দলের প্রস্তুতি খুব ভালো হচ্ছিল। একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অ্যাথলিটরা ট্রেনিং নিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ জানানো বেশ কঠিন আমাদের কাছে। যা ওলিম্পিকসে পদক জয়ের থেকেও বেশ শক্ত। ফলে টোকিও থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। আমাদের অনেক অ্যাথলিট বিদেশে ট্রেনিং নিচ্ছিলেন। দেশের ডাকে ফিরে এসে অস্ট্রেলিয়ার এক সেন্ট্রাল জোনে মিলিত হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা প্রকট হয়। এটাও টোকিও থেকে নাম প্রত্যাহারের অন্যতম কারণ।’ উল্লেখ্য, টোকিওতে ওলিম্পিকস যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য কাতার ওলিম্পিক কমিটি টোকিও কে যাবতীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু যেভাবে একে একে দেশগুলি থেকে নাম তুলতে শুরু করেছে তাতে টোকিওতে ওলিম্পিকস না হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।