পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
রোনাল্ডোর বর্তমান ক্লাব জুভেন্তাসের বেশ কিছু ফুটবলার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। রবিবারই এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আর্জেন্তিনার পাওলো ডায়বালার নাম। সহ-ফুটবলারের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সিআরসেভেন বলেছেন, ‘কোয়ারেন্টাইনে থেকে পাওলো সেরে উঠবে। মানসিক কাঠিন্যে ঘাটতি ওর পড়বে না।’ উল্লেখ্য, ইতালির জনসাধারণ এখন আতঙ্কে প্রহর গুনছেন। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এই মুহূর্তে মাডেইরাতে রয়েছেন রোনাল্ডো। সেখান থেকেই তিনি এজেন্ট জর্জ মেন্ডেসকে অর্থ পাঠিয়েছেল বলে পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
গত বুধবার পর্তুগালে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। দুই প্রতিবেশী দেশ স্পেন ও ইতালিতে যেভাবে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে চাইছে পর্তুগাল। এই পরিস্থিতিতে রোনাল্ডোর এগিয়ে আসাটা অবশ্যই ইতিবাচক ঘটনা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকাটি। ২০১৫ সালে নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। সেবার তিনি দিয়েছিলেন ৫ মিলিয়ন ইউরো। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন আগেই ‘মেক-আ-উইশ’ ফাউন্ডেশনের জন্য নিজের ব্যালন ডি’ওর ট্রফি নিলামে তোলেন। যা থেকে ৫ লক্ষ ইউরো সেই চ্যারিটিতে দান করা হয়। শুধু রোনাল্ডো নয়, বহু ফুটবলারই করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। যেহেতু ইউরো-২০২০ এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই বেশির ভাগ ফুটবলার এই অবসর সময়ে সামাজিক কর্তব্য পালনে নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন। সুইডেনের তারকা ফুটবলার জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচও ইতালির হাসপাতালের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন। পাশাপাশি চেলসি কর্ণধার রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আভ্রামোভিচ নিজের হোটেলকে মানুষের চিকিৎসার জন্য খুলে দিয়েছেন। একই কাজ করেছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে রোনাল্ডোর প্রাক্তন সহ-ফুটবলার গ্যারি নেভিলও।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন রোনাল্ডোর মা: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। স্থগিত রাখা হচ্ছে একের পর এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে তারকা ক্রীড়াবিদরাও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে অবশ্য কিছুটা স্বস্তি পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কারণ, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তাঁর মা ডোলোরেস আভেইরা। উল্লেখ্য, সুসংবাদ পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মস্তিষ্কের অসুখে (সিভিএ) আক্রান্ত হওয়ায় গত ৩ মার্চ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সঙ্গেসঙ্গে রোনাল্ডোর মায়ের জন্য চিকিৎসকদের প্যানেল গঠন করে। দ্রুত অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। সেই সময় মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দেশে ফিরেছিলেন সিআরসেভেন। তবে মাত্র একদিন থেকেই তাঁকে তুরিন উড়ে যেতে হয়েছিল। এরপর ইতালিতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু মিছিল বাড়ায় মাডেইরাতে চলে আসেন পর্তুগিজ মহাতারকাটি। দিন কয়েক আগে মায়ের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁর। এরপরেই ডোলোরেস আভেইরাকে বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এখন অনেকটাই সুস্থ ৬৫ বছর বয়সী এই ভদ্রমহিলা। বাড়ি ফিরে পুত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং তাঁর বান্ধবী জিওর্জিনা রডরিগেজের তত্ত্বাবধানেই থাকবেন ডোলোরেস। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে এই পরিবার।
এদিকে, জুভেন্তাসের বেশ কিছু ফুটবলার ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্লেইস মাতৌদি, পাওলো ডায়বালা, ড্যানিয়েল রুগানিরা। তাই রোনাল্ডোর মতো বিদেশিরা সপ্তাহখানেক আগে তুরিন ছেড়ে স্বদেশে ফিরেছেন। হাসাপাতাল থেকে ছাড়ার পর মায়ের দেখভাল করাই এখন সিআরসেভেনের প্রধান লক্ষ্য।
মায়ের সঙ্গে রোনাল্ডো।-ফাইল চিত্র