অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্য নেতাদের মুখমণ্ডল সহযোগে ফ্লেক্সটি তৈরি করা হয়েছে। রাবণের মতো সুনীলবাবুর মুখের দু’দিকে বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সাঁটানো হয়েছে। এইসব নেতাদের ছবির নীচে ‘বাংলা ও বাঙালির শত্রু’ লেখা হয়েছে। আবার এইসব বিজেপি নেতাদের মুখের ছবির একেবারে উপরের অংশে লেখা হয়েছে-‘কৃষকের শত্রু, আম্বানি-আদানির কাছে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্রকারী’। বিজেপি নেতাদের ছবির একেবারে নীচে লেখা রয়েছে-‘রাজনীতির ব্যাপারী, নীতি–আদর্শহীন, গিরগিটি, গদ্দার সুনীল মণ্ডলের তৃণমূলে ঠাঁই নাই’।
জেলা তৃণমূলের সম্পাদক তথা স্থানীয় নেতা প্রদীপ পাল বলেন, তৃণমূলের প্রতীকে ভোটে জিতে সুনীলবাবু সাংসদ হয়েছিলেন। অথচ বিধানসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকে তিনি তৃণমূলের বিরোধিতা শুরু করেন। বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভা থেকে সুনীলবাবু তৃণমূল নেত্রী সহ দলের নেতাদের কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেন। কিন্তু, ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর এখন সুনীলবাবু ভোলবদল করেছেন। তারপরই বর্ধমান পূর্ব লোকসভা এলাকার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। দলের কর্মীদের অনেকে সুনীলবাবু ফের তৃণমূলে চান না।
ফ্লেক্সের ব্যাপারে সুনীলবাবুকে ফোন করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, জামালপুর বিধানসভার বিজেপির আহ্বায়ক জিতেন ডকাল বলেন, সুনীল মণ্ডল হলেন নীতি আদর্শহীন ক্ষমতার মধু খাওয়া রাজনীতিক। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসছে এমন হাওয়া উঠতেই তিনি বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি জিততে না পারায় তাই তিনি ফের শাসক দলে ভিড়ে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন।