সংবাদদাতা, আরামবাগ: দ্বারকেশ্বর নদের জলে ফরেস্ট প্লাবিত হওয়ায় নষ্ট হল বহু টাকার চারাগাছ। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির সীমান্তবর্তী এলাকা বর্ধমানের মাধবডিহি থানার বাবলা গ্রামে। এই ঘটনায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকার চারাগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দ্বারকেশ্বর নদে কানায় কানায় জল ছিল। রাতের দিকে জল আরও বেড়ে গিয়ে ফরেস্টে ঢুকে পড়ে। সেখানে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বহু চারাগাছ লাগানো হয়েছিল। এখন চারাগাছগুলি জলের তলায় ডুবে রয়েছে। স্থানীয় ও ফরেস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবলা ফরেস্টটি বর্ধমানের মাধবডিহি থানা এলাকায় হলেও এটি আরামবাগ রেঞ্জের চাঁদুর বিট অফিসের অধীনে রয়েছে। এই ফরেস্টটির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদ। বছরের অন্যান্য সময় এই নদে তেমন জল থাকে না। কিন্তু বর্ষার সময় বিভিন্ন জলাধার থেকে ছাড়া জলে এবং বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ হয়ে এই নদ বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকে। এবছর একটানা বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দ্বারকেশ্বর নদ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রায় বিপদসীমা ছুঁয়ে বইছিল। বৃহস্পতিবার রাতে জল বাড়তেই বাবলা ফরেস্ট প্লাবিত হয়।
ওই ফরেস্টে ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রায় ১১৫ বিঘা জমিতে আকাশমণি, শিশু, কয়েতবেল, অর্জুন, জারুল সহ বিভিন্ন চারাগাছ রোপন করা হয়েছিল। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। বর্তমানে গাছগুলি গড়ে চার ফুট উচ্চতা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই দ্বারকেশ্বরে জলে সব নষ্ট হয়ে গেল। বন দপ্তরের অনুমান, এই জলের স্রোতে বহু চারাগাছ ভেসে চলে যাবে। আর যে গাছগুলি রয়ে যাবে সেগুলো আবার দুদিন পর্যন্ত জল জমা হয়ে থাকলে মরে পচে নষ্ট হয়ে যাবে।
এই প্রসঙ্গে চাদুর ফরেস্টের বিট অফিসার শুভঙ্কর সিকদার বলেন, অনেক যত্ন করে আমরা চারাগাছ গুলি রোপন করেছিলাম। বন্যার জলে সব নষ্ট হয়ে যাবে ভাবিনি। সব মিলিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার চারাগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত আরামবাগের ২ নং ওয়ার্ডের বহু বাড়ি। -নিজস্ব চিত্র