অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, এলাকার বহু রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু ওই রাস্তাটি রেলের। সংস্কার করতে চেয়ে বহুবার রেলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু অনুমতি মিলছে না। তাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে ওই রাস্তায় খানাখন্দ বোজানোর ব্যবস্থা করা হয়। রেল অনুমতি দিলে দু’বছরের মধ্যে রাস্তাটি পাকা করে দেব।
যদিও এ ব্যাপারে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, রেলের কাছে পাঠানো চিঠির কপি আমি হাতে পেলে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদবির করব।
জানা গিয়েছে, কুমারসাণ্ডা, শালসাণ্ডা, হোদরপুর সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ রেল লাইনের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তা ধরে লোহাপুর আসেন। বাজারহাট, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্লক অফিস, পঞ্চায়েত সহ সমস্ত সরকারি কার্যালয় সবই লোহাপুরে হওয়ায় নিত্যদিন তাঁদের যাতায়াত করতে হয়। ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট হলে এই রাস্তা ধরে গিয়ে বহু যানবাহন মোড়গ্রামের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই টোটো, সাইকেল, বাইক আরোহী দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। কুমারসাণ্ডা গ্রামের পলাশ শেখ, লাল মহম্মদ শেখ, রতন শেখ বলেন, বর্তমানে রাস্তা এতটাই বেহাল যে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আসতে চায় না। রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের হাঁটিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়। ছেলেমেয়েদের এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে ভয় লাগে। কারণ অনেকেই পড়ে গিয়ে হাত পা ভেঙেছে। তাছাড়া কৃষিজ পণ্য ভ্যান রিকশ করে বাজারে নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। নিজস্ব চিত্র