কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বেলা ১০টা নাগাদ এক যুবক বাইক নিয়ে ওই বিধবার বাড়িতে যায়। বিধবাকে ওই যুবক জানায়, বিডিও অফিস থেকে সে এসেছে। বিডিও তাকে পাঠিয়েছেন। অসীমাদেরীর নামে ব্লক থেকে বাড়ি অনুমোদন হয়েছে। কাগজপত্র তৈরি করা এবং অগ্রিম জমা দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। তার আগের দিনই ওই মহিলা সিএসপি থেকে আড়াই হাজার টাকা তুলে এনেছিলেন। পুরো টাকাটাই তিনি দিয়ে দেন। অসীমাদেবী বলেন, আমি যুবকের কথাটি বিশ্বাস করে তোলা টাকার সবটাই দিয়ে দিই। যুবক আমার আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের জেরক্স নিয়ে দেখছিল। তখন বিষয়টা বুঝে নেওয়ার জন্য পাশের বাড়ির এক ভাইকে ডাকতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি যুবকটি নেই। বেলার দিকে বিডিও অফিসে বিষয়টি জানাই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এরকম প্রতারণা প্রথম নয়। ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে এভাবে অসহায় এবং লেখাপড়া না জানা পরিবারের কাছ থেকে প্রশাসনের নাম করে টাকা তোলার বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। দাসপুর ও ঘাটাল থানার পুলিস জানিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে ওই সমস্ত প্রতারণার খবরগুলি পেলেও লিখিত আকারে কোনও অভিযোগ পায়নি। পুলিসের অনুমান, অসীমাদেবী আগের দিন যে সিএসপি থেকে টাকা তুলে এনেছিলেন সেখানেই ওই দুষ্কৃতী যুবক বিষয়টি লক্ষ্য করেছিল। তারপরেই সে কোনওভাবে ঠিকানা ম্যানেজ করে দুষ্কর্মের ছক কষে ওই কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ২ নভেম্বর দুপুরে দাসপুর থানার বেনাই গ্রামের এক বাসিন্দা ঘাটাল মহকুমা শাসকের নাম ভাঙিয়ে ঘাটালের একটি দোকানদারের কাছ থেকে ল্যাপটপ নিয়ে পালায়। ঘটনার ১২ দিন পর ১৪ নভেম্বর তাকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। ল্যাপটপও উদ্ধার করেছে। ঘাটাল মহকুমায় এভাবে প্রতারণার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন।