হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পেশায় রাজমিস্ত্রি আবুল কাশেম বলেন, আমরা পাশের ঘরে ঘুমোলেও চুরির বিষয়টি টের পাইনি। দরজা ও আলমারির তালা ভেঙে চুরি করা সত্ত্বেও আমরা তা বুঝতে পারিনি। আমাদের অনুমান, জানালা দিয়ে কোনও কিছু জিনিস দিয়ে আমাদের গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছিল। সকালে প্রতিবেশীদের বাড়িতে চুরির ঘটনা জানার পর নিজের ঘরেও চুরি হয়েছে দেখে অবাক হই। দরজার তালা ভেঙে তারা বাড়িতে ঢোকে। আলমারির চাবি ভেঙে নগদ ২০হাজার টাকা সহ ২ভরি সোনা ও ১৫ ভরি রুপোর গয়না চুরি গিয়েছে।
অপর এক রাজমিস্ত্রি শেখ আজমল বলেন, গ্রামে এত বড় চুরির ঘটনা কখনও ঘটেনি। আমরা মাটির ঘরের দোতলায় ঘুমোচ্ছিলাম। বাবা নীচের ঘরে ছিলেন। তাঁকে বাইরে থেকে শিকল তুলে দেওয়া হয়েছিল। ভোর ৪টে নাগাদ ঘুম ভাঙায় বাবা বাইরে ওঠার জন্য দরজা খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু, দরজার বাইরে থেকে শিকল থাকায় বাবা তা খুলতে পারেননি। তখন তিনি আমাদের ডাকেন। বাবার আওয়াজ শুনে আমরা দোতলা থেকে নেমে শিকল খুলে দিই। তখন দেখি, পাশের ঘর খোলা রয়েছে। ভিতরে ঢুকে দেখি, আলমারি খোলা, সব লণ্ডভণ্ড অবস্থায় রয়েছে। আলমারিতে থাকা নগদ ৫০হাজার টাকা, ৩ ভরি সোনা ও ১৩ ভরি রুপোর গয়না চুরি গিয়েছে। আমার স্ত্রী বেসরকারি ব্যাঙ্কের স্ব-স্বহায়ক দলের সদস্য হওয়ায় বাড়িতে ঋণের টাকা ছিল। দুষ্কৃতীরা আলমারি ভেঙে পুরো টাকাটাই নিয়ে গিয়েছে। এখন কীভাবে তা শোধ দেব বুঝতে পারছি না।
পেশায় কৃষক শেখ সফিক বলেন, সব্জি বিক্রি করে তিল তিল করে ২০হাজার টাকা জমিয়েছিলাম। তার মধ্যে ৯হাজার টাকা আমন ধান চাষে খরচ হয়েছে। বাকি ১১হাজার টাকা বাড়িতে রাখা ছিল। পুরোটাই দুষ্কৃতীরা নিয়ে পালিয়েছে। আমরা এতটুকু টের পাইনি। মনে হয় কোনও কিছু স্প্রে করে আমাদের আচ্ছন্ন করা হয়েছিল।
অপর কৃষক প্রভাকর নন্দী বলেন, আমার বাড়ি মুসলিম পাড়া থেকে প্রায় ৫০০মিটার দূরে অবস্থিত। বাড়িতে সোনা ও রুপোর অলঙ্কার তেমন ছিল না। তবে কাঁসা ও পিতলের থালা বাসন চুরি গিয়েছে। এছাড়াও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে। সকালে উঠে তা টের পাই।