হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
সোমনাথবাবু বলেন, স্বাধীনতা দিবসে আমার দোকানে যাঁরাই আসেন, তাঁদের বিনামূল্যে চা-বিস্কুট খাইয়েছি। আমি স্বাধীনতা দিবস এভাবে পালন করে দেশকে সম্মান করি। এদিন এই চায়ের দোকানে চা খেতে আসেন তেহট্টের সুজয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমি কলেজ স্ট্রিটে একটি কাজে এসেছিলাম। এই দোকানে চা খেয়ে পয়সা দিতে গেলে উনি বলেন যে, আজ আমি স্বাধীনতা দিবসের জন্য কোনও পয়সা নিই না। এতে আমি অবাক হয়ে যাই। তাঁর এই দেশপ্রেম দেখে খুব গর্ব অনুভব করেছি।
অন্যদিকে, এদিন কৃষ্ণনগরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। উপস্থিত ছিলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এরপর কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে শহিদদের মূর্তিতে মাল্যদান করেন জেলাশাসক। রবীন্দ্র ভবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তেহট্ট মহকুমা শাসকের অফিসে পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক মণীশ দাশগুপ্ত। চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বেতাই মিতালি সংঘের পরিচালনায় একটি আট দলের ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে তেহট্ট থেকে বেতাই খেলার মাঠ পর্যন্ত একটি মশাল দৌড়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে নানা মনীষীর জীবন্ত মডেল রাখা হয়। প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র, তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে, নাজিরপুর ও পলাশীপাড়ার রাধানগরে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পলাশীপাড়া থানার সাহেব নগরে এদিন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিশান বিশ্বাস একটি পাঠাগারে কিছু বই খাতা দান করে। তেহট্ট থানার বেতাই লালবাজারে ৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নে বর্ডার এরিয়া উন্নয়ন তহবিল থেকে একটি জিমের সূচনা হয়। ওইদিন ওই জিম সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেন তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক। উপস্থিত ছিলেন বেতাই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বুড়িবালা সর্দার। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া ও নবদ্বীপেও দিনভর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অপরদিকে, রানাঘাট মহাকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষ মঞ্চে পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। সেখানে পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক হরসিমরন সিং। পরে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রানাঘাট পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলার কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। ওইদিন সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৫ ফুট দীর্ঘ পতাকা নিয়ে পদযাত্রা করে আনুলিয়া শ্রীনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলনের পর পথযাত্রায় অংশ নেয় বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিশুরাও। পথযাত্রায় শিশুদের ভারতের বিভিন্ন মহাপুরুষ সাজিয়ে প্রদর্শনী করা হয়। পদযাত্রার পরে স্কুল প্রাঙ্গণে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিজেপির রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার প্রধান কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন দলের সভাপতি মানবেন্দ্র রায়। কুপার্স ক্যাম্প বাজার এলাকায় বিজেপির কার্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন শহর মণ্ডল সভাপতি দীপক দে। অন্যদিকে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয় কোর্ট মোড়ে বিনয় ভবনে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পতাকা উত্তোলন করেন দলের শহর সভাপতি অসিত দত্ত।