হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোটে ছত্রি পঞ্চায়েতের ৮টি আসনের মধ্যে ৬টিতে জয়ী হয় বিজেপি। মাত্র দু’টি আসন পায় তৃণমূল। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান অজয় মাহাত ও উপপ্রধান রাসমণি সরেনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘাত চলছিল। তার জেরেই এদিন ছত্রি অঞ্চলের হাঁড়িভাঙা গ্রামে সাংবদিক বৈঠক ডাকেন উপপ্রধান। সেখানেই রাসমণি সহ ৫ সদস্য বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন জেলার তৃণমূল নেতা অমল করও। দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীদিনে অমল করের পরামর্শমতো তাঁরা রাজনৈতিক কর্মপন্থা অবলম্বন করবেন। রাসমণিদেবীর অভিযোগ, স্বজনপোষণ ও আর্থিক অনিয়ম চলছে। আমাদের কথা শোনা হচ্ছিল না। তাই দল ছাড়লাম।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছত্রি অঞ্চলের আরও ১১জন বুথস্তরের বিজেপি নেতা ও কর্মী লিখিতভাবে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিজেপির রাজ্য কিষাণ মোর্চার নেতা হরেন মাহাত। জেলা তৃণমূলের নেতা অমলবাবু বলেন, দলত্যাগীদের তৃণমূলে নেওয়ার জন্য জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী ও জেলা সভাপতি বীরবাহা সরেনের সঙ্গে আলোচনা করব।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, দলে থাকলে দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। নিয়ম না মানায় ওঁদের শোকজ করা হয়েছিল। শোকজের উত্তর দিতে পারবে না জেনেই দল ছেড়েছেন। আমাদের পার্টি কখনওই দুনীর্তিকে প্রশয় দেবে না। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান অজয় মাহাত বলেন, স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় কিছু লোক উপপ্রধানকে দিয়ে জোর করে মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছে।
সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র বলেন, কোনও সুস্থ মানুষ বিজেপি করতে পারবে না। এদের যে কার্যকলাপ, তাতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দলত্যাগী সদস্যরা কি তৃণমূলে যোগ দেবেন? এব্যাপারে ব্লক সভাপতি বলেন, সেটা সময় বলবে। রাজনীতিতে তো শেষ কথা বলে কিছু নেই।