কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধির যোগ। সাহিত্যচর্চা/ বন্ধু সঙ্গে আনন্দ। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ কৃষক বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল হক স্কুটারের ডিকিতে টাকার ব্যাগ রেখে একটি দোকানে গিয়েছিলেন। আধঘণ্টা পর এসে দেখেন, স্কুটারের ডিকি খোলা। ভিতরে রাখা টাকার ব্যাগ নেই। আজিজুলের দাবি, ব্যাগে সারাদিনের ব্যবসার ৮০ হাজার টাকা, এটিএম কার্ড, বিমার কাগজপত্র সহ ১৮০ প্যাকেট আলুর বন্ড ছিল। খবর পেয়ে কৃষক বাজারে আসে মাথাভাঙা থানার পুলিস। খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে তারা।
আজিজুল বলেন, আগেও আমার দোকান থেকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসায়ী সমিতিকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যা হয়েছে, তাতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। কীভাবে এতটা ক্ষতি পূরণ করব বুঝতে পারছি না।
কৃষক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সজল রায়ের অভিযোগ, অনেকবার সন্ধ্যার পর বাজারে পুলিসি নজরদারির দাবি জানিয়েছিলাম থানায়। কিন্তু পুলিস এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। পুলিসি নজরদারির অভাবেই কৃষক বাজারে চুরির ঘটনা বেড়ে চলেছে। তাছাড়া অন্ধকার হলেই বাজারের একাংশে মদ, জুয়ার আসর বসছে।
যদিও মাথাভাঙা মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, কৃষক বাজারে এক ব্যবসায়ীর টাকা চুরি হয়েছে। তদন্ত চলছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার কোনও দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায় কি না তা দেখা হচ্ছে। কৃষক বাজারে টহলদারি ভ্যান যায় রাতে। বাজার থেকে কিছুটা দূরে পঞ্চানন মোড়ে ট্রাফিক পুলিস থাকে। খবর পেলে কৃষক বাজারে চলে যায়। সম্প্রতি কৃষক বাজারে আসা বিএসএফ জওয়ানের পকেটমারের ঘটনা ঘটে। বারবার কৃষক বাজারে পকেটমারি ও চুরির ঘটনায় চরম উদ্বেগে ব্যবসায়ী ও পাইকাররা। কৃষক বাজারের চুরি ঠেকাতে পুলিস কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। যদিও পুলিস জানিয়েছে, ব্যবসায়ীর স্কুটারের ডিকি থেকে টাকা চুরির ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।