কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধির যোগ। সাহিত্যচর্চা/ বন্ধু সঙ্গে আনন্দ। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
শোলাডাঙা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে তোর্সা নদী। প্রতি বছর বর্ষার মরশুম শুরুর আগেই ভাঙনের চিন্তায় গ্রামবাসীর ঘুম ওড়ে। আতঙ্ক তাড়া করে, এই বুঝি নদীপাড় ভেঙে সবকিছু গ্রাস করে নেবে।
গত কয়েক বছরের প্লাবনে তোর্সার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। জলের তলায় চলে গিয়েছে বসতবাড়ি। ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় অনেকেই অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এবছর বর্ষার আগেই গ্রামবাসীরা পাথরের বাঁধের দাবিতে সরব হয়েছেন। শোলাডাঙায় প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। বেশিরভাগ বাসিন্দা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। নদী যেভাবে বসতির দিকে এগিয়ে আসছে, তাতে বাস্তুভিটে, চাষের জমি হারানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্দিস আলি শেখ, সরস্বতী দেবনাথ বলেন, ভাঙনের জেরে বহু জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। আমরা বহুবার পাড়বাঁধের দাবিতে বিডিও, জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি। তা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। অবিলম্বে বোল্ডারের বাঁধের দাবি জানাচ্ছি।
তুফানগঞ্জ-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জগদীশ বর্মা বলেন, এখানে বাঁধের দাবি দীর্ঘদিনের। সেচদপ্তর ওই এলাকায় সার্ভে করেছিল। দ্রুত সেখানে বাঁধ নির্মাণ করা যায় কি না সে বিষয়ে সেচদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।