কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধির যোগ। সাহিত্যচর্চা/ বন্ধু সঙ্গে আনন্দ। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
সমতলে অস্বাভাবিক গরম। তাই নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া উপভোগ করতে দার্জিলিং ও সিকিম পাহাড়ে ভিড় করছেন পর্যটকরা। বেশ কিছুদিন ধরে দার্জিলিং পাহাড়ের অধিকাংশ হোটেল, হোম স্টে ও লজ একশো শতাংশ ভর্তি। বর্ষার মরশুম শুরুর আগে পর্যন্ত পাহাড়ে এমন ভিড় অব্যাহত থাকবে বলে ট্যুর অপারেটরদের আশা। এই অবস্থায় অস্বাভাবিক হারে ট্যুরিস্ট গাড়ির ভাড়া বেড়েছে। পর্যটকদের কাছ থেকে যে যেমন পারছেন, ভাড়া আদায় করছেন। এ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন পর্যটকরা।
দার্জিলিং ঘুরতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, সাধারণত শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত রিজার্ভ ট্যুরিস্ট গাড়ির ভাড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা থাকে। শেয়ার গাড়িতে মাথাপিছু ভাড়া ২৫০ টাকা। কিন্তু, রিজার্ভ গাড়ির ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার টাকা। ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকাচ্ছেন গাড়ি চালকরা।
গ্যাংটকগামী কয়েকজন পর্যটক বলেন, সাধারণত শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রিজার্ভ ট্যুরিস্ট গাড়ির ভাড়া পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু এখন তা বেড়ে হয়েছে আট হাজার টাকা। কখনও কখনও সাড়ে আট থেকে ন’হাজার টাকা আদায় করা হয়। গাড়ি ভাড়ায় বাড়তি খরচ হচ্ছে। পর্যটকদের অভিযোগ, পর্যটন শিল্পের স্বার্থে এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।
এনজেপি, শিলিগুড়ি জংশন ও বাগডোগরা এলাকা থেকে মেলে ট্যুরিস্ট গাড়ি। সংশ্লিষ্ট এলাকার চালকরা বলেন, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৭০ কিমি। আর গ্যাংটকের দূরত্ব ১১৪ কিমি। সংশ্লিষ্ট দু’টি রুটেই প্রশাসনের নির্ধারিত কোনও রেট চার্ট নেই। ফলে চালকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া নেন। লাভের আশাতেই এটা করা হয়। বাগডোগরা ট্যাক্সি ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজ ভৌমিক বলেন, সমস্ত ট্যুরিস্ট গাড়ি কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ (সিসি) পারমিটে চলে। পর্যটকদের সঙ্গে আলোচনা করেই ভাড়া ঠিক করেন চালকরা। দরে পোষালে পর্যটকরা গাড়িতে চাপেন। এখানে জুলুমবাজির কিছু নেই।