কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধির যোগ। সাহিত্যচর্চা/ বন্ধু সঙ্গে আনন্দ। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য এক ইউনিট করে রাখা আছে। এছাড়া ‘এ’ পজিটিভ এক ইউনিট, ‘বি’ পজিটিভ তিন, ‘এবি’ পজিটিভ এক এবং ‘ও’ পজিটিভ রক্ত এক ইউনিট করে রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত ব্লাড ব্যাঙ্কে থাকা সামান্য পরিমাণ রক্ত মূলত প্রসবের জন্য মজুত করে রাখা হয়। সেটা অন্য কোন রোগীকে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ প্রসবের সময় রক্তের প্রয়োজন হলে এই রক্ত দেওয়া হবে। এরপর অস্ত্রোপচার এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের রক্ত দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রুপের রক্তদাতাকে নিয়ে আসতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, জেলার সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অবিলম্বে রক্তদান শিবির আয়োজন করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এবিষয়ে আলোচনা করব।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটা করে ব্লাড ব্যাঙ্ক আছে। সেখানে ‘ও’ নেগেটিভ ছাড়া সব গ্রুপের রক্ত মজুত থাকে। এই ক্ষেত্রে ‘ও’ নেগেটিভ গ্রুপের রক্তদাতাদের নাম, ঠিকানা ফোন নম্বর ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে নথিভুক্ত করা থাকে। সেক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে রক্তের যোগান দিতে সমস্যা হয় না। রায়গঞ্জের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা গত সপ্তাহে একটা ক্যাম্প করেছি। কিন্তু সেই রক্ত নিমেষেই শেষ হয়ে গিয়েছে। যেদিকে পরিস্থিতি যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে আরও একটা ক্যাম্প করতে হবে।
রক্তদাতা ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান করার পর সেই এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হত। এখন সম্পূর্ণ রক্ত নিলে রোগীকে দেওয়ার আগে আরবিসি, ডব্লিউবিসি ভাগ করে দিতে হয়। এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে খুব কম করে হলেও চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। অর্থাৎ, রক্তদাতা নিয়ে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পাওয়া যাবে না। এই মুহুর্তে রায়গঞ্জে আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে বড় সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের।